দেশে এ পর্যন্ত সাড়ে ১৯ লক্ষাধিক লোক করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। টিকার এই ডোজ গ্রহণকারীর সংখ্যা ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৫। এরমধ্যে পুরুষ ১৩ লাখ ৯৯৭ এবং নারী ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৯৭৮ জন।
এদিকে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৬ জন। এরমধ্যে ৩৫ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬ জন পুরুষ এবং নারী ২১ লাখ ৯৪ হাজার ৬৫০।
এ ছাড়া আজ বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৭১ লাখ ৮৪ হাজার ৪০৬ জন লোক টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৮৮ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৯৫ হাজার ২৩৯ এবং নারী ৫৬ হাজার ৭৪৯ জন। আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৬ হাজার ৮৮৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৫৯০ এবং নারী ৬ হাজার ১৯৪ জন।
এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬ লাখ ১ হাজার ৫৫৮ জন। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ২ লাখ ৯২ হাজার ১৭৬ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৭ লাখ ৯১ হাজার ৮৭০ ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন ৯ লাখ ১০ হাজার ৭৯৪ জন।
ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮৯ হাজার ২৬২ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৮৭ হাজার ২৮৩ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৯০ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৭০ হাজার ৩১০ জন। রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ৫ হাজার ৮৫০ জন, প্রথম ডোজ ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন।
রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ৩০০ জন, প্রথম ডোজ ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৫ জন। খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ১০৫ জন, প্রথম ডোজ ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৭৩ জন। বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮৮ হাজার ৬৭৬ জন, প্রথম ডোজ ২ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৩৪ জন, প্রথম ডোজ ২ লাখ ৯৯ হাজার ৩১১ জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেয়ার ৬০দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে।