করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসক অধ্যাপক ডাক্তার এফএম সিদ্দিকী।
বুধবার তিনি বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শ্বাসকষ্ট ও গলাব্যথা ছিল না, এখনও নেই। পালস্, স্যাচুরেশন ঠিক আছে।
ডাক্তারি ভাষায়, তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। বুধবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তার শরীরের তাপমাত্রাও স্বাভাবিক ছিল। খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় বাকি যে আটজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের অবস্থাও ভালো বলে জানিয়েছেন এ চিকিৎসক।
জাহিদ হোসেন বলেন, আগামী সপ্তাহে আবারও করোনা পরীক্ষা করার পরিকল্পনা আছে খালেদা জিয়ার। এখন চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ড কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান চিকিৎসকরা।
ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় তার স্বাস্থ্যের ক্লোজ মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। এ মাস পুরোটাই করা হতে পারে। অনেকের তো করোনা নেগেটিভ হতে চার সপ্তাহও লেগে যায়। করোনার গতি-প্রকৃতি কোন দিকে যায়, তার প্রত্যেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
গত শনিবার খালেদা জিয়ার নমুনা পরীক্ষা শেষে রোববার তার করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। চিকিৎসক এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিম বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা শুরু করে। লন্ডন থেকে চিকিৎসক পূত্রবধূ জোবাইদা রহমানও চিকিৎসার বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।
লন্ডনে থেকেই পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান দেশে-বিদেশে বিভিন্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বেগম জিয়ার সুচিকিৎসার তদারকি করছেন। এছাড়া তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ও করছেন ডা. জোবায়দা রহমান।
৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়; শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার সঙ্গে বাইরের কারও যোগাযোগ সীমিত।