রাজধানীর মতিঝিল থানায় নাশকতা মামলায় ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীর ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, মতিঝিল থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে ভার্চুয়ালি তাকে আদালতে হাজির করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৭ এপ্রিল রফিকুল ইসলামকে নেত্রকোনা থেকে আটক করেছে বলে জানায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এর আগে মাওলানা রফিকুল ইসলামের সর্বশেষ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আমাকে গুম করার চেষ্টা চলছে।’ গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকায় রয়েল রিসোর্ট মাওলানা মামুনুল হকসহ এক নারীকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেসবুক লাইভে এসে মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী মামুনুল হকের সমর্থনে কথা বলেন।
গত ২৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মোদিবিরোধী মিছিল থেকে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামকে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছিল। পরে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন ঘিরে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের একটি মিছিল রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকায় শুরু হয়। এতে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি মতিঝিলে যাওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় রফিকুল ইসলামকে পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়েছিল।
রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণায়, থাকেন গাজীপুরে। তিনি নেত্রকোণার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদরাসার পরিচালক।
রফিকুল ইসলামের বয়স ২৬ বছর। নিজের নামের সঙ্গে ‘শিশুবক্তা’ শব্দটি ব্যবহারে আপত্তি জানান তিনি নিজেই। বিভিন্ন সময়ে ওয়াজে তার নামের সঙ্গে ‘শিশুবক্তা‘ ব্যবহার না করারও অনুরোধ জানান তিনি। ওয়াজে নিজের বয়স সম্পর্কে রফিকুল ইসলাম বলেন, ১৯৯৫ সালের শেষের দিকে আমার জন্ম। এখনও আমাকে শিশুবক্তা বানিয়ে রাখবেন কেন? আমি ছয় বছর বয়স পর্যন্ত বাড়িতে পড়াশোনা করেছি। তারপর ক্লাস সিক্স পর্যন্ত স্কুলে পড়েছি। এরপর মাদরাসায় ভর্তি হই। নূরানিতে পড়েছি এক বছর। আল্লাহ রহমতে দুই বছরে হেফজ শেষ করেছি। এখানে তিন বছর, আগের ১২ বছর মোট হলো ১৫ বছর। এরপর আট বছর কিতাবখানায় পড়েছি।