দেশজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। মৌসুমের শুরুতেই মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড ছুঁয়েছে যা চলতি বছর সর্বোচ্চ। এর আগের দিন সোমবার (১৯ এপ্রিল) যশোরে ছিল সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে, ২০১৮ সালের ১৫ জুনে রাজশাহীতে সর্বাধিক ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
এছাড়া গত দুই যুগের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ছিল যশোরে ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ছিল ১৯৯৫ সালে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকায় ১৯৯৫ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারও আগে ১৯৬৯ সালে রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানান, রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, মংলা, সাতক্ষীরা, যশোর, রাঙ্গামাটি অঞ্চলসহ ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, চলতি তাপপ্রবাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।
তাপমাত্রা যখন ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে, তখন আবহাওয়াবিদরা একে হালকা তাপ প্রবাহ বলেন। যখন ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়, তখন একে মাঝারি তাপ প্রবাহ বলা হয়। এবং তাপমাত্রা যদি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়, তখন একে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঈশ্বরদী, চুয়াডাঙ্গা, কুমারখালীতে ৪০ ডিগ্রি; যশোরে ৩৯.৬ ডিগ্রি; বগুড়া, টাঙ্গাইল, তাড়াশ ও ফরিদপুরে ৩৮ ডিগ্রি; এবং মাদারীপুর, দিনাজপুর, খুলনা, মংলা, সাতক্ষীরা ও ভোলাসহ বেশকিছু এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাতের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। দিনের তাপমাত্রা থাকবে অপরিবর্তিত।
আগামী দুইদিনে দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তাপপ্রবাহ কিছুটা কমলেও চলতি সপ্তাহের শেষে তা আবারও বাড়তে পারে তাপমাত্রা।