ইউরোপিয়ান সুপার লিগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরই ফুটবল বিশ্বে ঝড় ওঠে। কেউ পক্ষে তো কেউ টুর্নামেন্টটির বিপক্ষে মত দিচ্ছেন। কারও মতে সুপার লিগ ‘ফুটবলের মৃত্যু’, আবার কারও মতে ফুটবলকে বাঁচাতেই আয়োজন করা হচ্ছে টুর্নামেন্টটি।
বিষয়টি যে শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়াবে, সেটা ধারণা করা যাচ্ছিল। তবে প্রত্যাশিত সময়ের বেশ আগেই আদালত পর্যন্ত গেল সুপার লিগ আয়োজনের ব্যাপারটি। আর এতে আপাতত খুশি হওয়ার মতো খবরই পেয়েছে সুপার লিগ কর্তৃপক্ষ।
উয়েফা ও ফিফার চোখে বিদ্রোহী এই টুর্নামেন্টের পক্ষে মত দিয়েছেন স্পেনের একটি বাণিজ্যিক আদালত। আদালতের ভাষ্য, ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় ১২টি ক্লাবের উদ্যোগে সুপার লিগ আয়োজনে বাধা দিতে পারে না উয়েফা ও ফিফা।
মঙ্গলবার এক লিখিত রায়ে আদালত এই নির্দেশ জারি করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। যদিও কীসের ভিত্তিতে এই রায় দেওয়া হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। আদালত বলেছে, ফিফা, উয়েফা এবং সংশ্লিষ্ট সকল ফুটবল ফেডারেশন সুপার লিগ গঠনের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই নিষেধাজ্ঞা বা শর্ত আরোপ করতে পারে না।
ইউরোপিয়ান সুপার লিগে অংশ নিতে বদ্ধপরিকর ১২টি নামি ক্লাব। অনেক চাপের মুখেও আসরটি আয়োজনে আশাবাদী সুপার লিগ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়স্ত্রক সংস্থার কড়া হুঁশিয়ারি, যেকোনো মূল্যে টুর্নামেন্টটি বন্ধ করা হবে।
ক্লাবগুলোকে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ফুটবলারদেরও জাতীয় দলে খেলতে না দেওয়ার ব্যবস্থা করতে প্রস্তুত উয়েফা। এই পথে ফিফাকেও পাশে পাচ্ছে উয়েফা।
১২টি ক্লাবের উদ্যোগে সুপার লিগ আয়োজনের চেষ্টা চলছে। ক্লাবগুলো হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, জুভেন্টাস, এসি মিলান, ইন্টার মিলান, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল, আর্সেনাল, চেলসি ও টটেনহ্যাম হটস্পার।