শনিবার প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যে যাবতীয় আচার-অনুষ্ঠান হয়ে যাওয়ার পর যখন এলাকা প্রায় জনশূন্য, তখনই খুঁজে পাওয়া যায় ছোট্ট একটি চিঠি। প্রেরক তার প্রেয়সী ‘লিলিবেট’। না, অন্য কোনও প্রেমিকা নন, লিলিবেট নামেই নিজের ৭৩ বছরের জীবনসঙ্গিনীকে ডাকতেন ৯৯ বছরের ফিলিপ।
রানি এলিজাবেথের ছোটবেলার ডাকনাম লিলিবেট। ব্রিটিশ রাজপরিবারের একমাত্র ফিলিপকে ছুঁয়েই নামটা রয়ে গিয়েছিল। এবার তারও ইতি। তাই বিদায়বেলায় ‘লিলিবেট’ হয়েই ভিড়ের মাঝে অন্তরের কথাগুলো রেখে গেলেন রানি। গত ৯ তারিখ মারা যান হন ব্রিটিশ রাজপরিবারের যুবরাজ ফিলিপ। শতবর্ষ থেকে ২ মাস দূরে থাকতেই বিদায় নেন অসুস্থ প্রিন্স। শনিবার রীতি মেনে ছিল তার শেষকৃত্য। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় এখন টলমল ব্রিটেন। তাই যুবরাজের অন্তিম শ্রদ্ধায় যোগ দিয়েছিলেন মাত্র ৩০জন। শনিবার উইন্ডসর ক্যাসলের সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে ঘরোয়া অনুষ্ঠানেই তার বিদায়পর্ব সমাপ্ত হয়েছে। পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য হাজির থাকলেও ছিলেন না পরিবারের কনিষ্ঠ যুবরানি মেগান মর্কেল। তিনি ফ্লোরিডার বাড়ি থেকে ভিডিও কনফারেন্সে দেখেছেন শেষকৃত্য।
এদিন যুবরাজ ফিলিপের কফিনটি সুন্দর করে সাজিয়ে দেন রানি নিজে। এই বিদায়ও তো এক উদযাপন, শোকের উদযাপন, তাই শোকের সজ্জা। সাদা মখমলে কাপড়ে মোড়া কফিন, উপরে সাদা লিলি, গোলাপ, ফ্রিসিয়া। সব ফুল তার পছন্দের। এভাবে যে কখনও সঙ্গীকে সাজিয়ে তুলতে হবে, কখনও কি ভেবেছিলেন সম্রাজ্ঞী? ভাবেননি। জনসমাগম যতই কম হোক, তবু তো ভিড়। এই ভিড়ের মাঝে তো মনের কথা বলা যায় না। এতদিন তো জনতার মাঝেও একান্ত একটা নিজস্ব যাপন ছিল তাদের। শেষবেলায় কেন তবে ভিড়ে হারিয়ে যাবে প্রিয়তমর প্রতি উচ্চারিত শেষ কথাগুলো? তাই তো সাদা কাগজের উপর কয়েকটি শব্দে নিজের কথা বলে গেলেন রানি। কফিনের কোনঘেঁষে সেই ছোট্ট কাগজটা সকলের চোখে পড়ল সবার শেষে। বোঝা গেল কয়েকটা শব্দ শুধু – In Loving memory… Lilibet. কাগজে ব্রিটিশ রাজপরিবারের স্ট্যাম্প। সূত্র: পিপল ডট কম।