হলোকাস্ট (ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ) চালানোকে অস্বীকার করার কারণে পশ্চিমা সরকারগুলোকে শাস্তি দেয়া উচিত। অন্যদিকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)কে অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধেও একই রকম শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। শনিবার টুইট বার্তায় এই কথা বলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ইমরান খান মনে করেন, জার্মানি এবং ফ্রান্সসহ ইউরোপের কিছু দেশে হলোকাষ্টকে অস্বীকার করা হয়। এটা একটা অপরাধ এবং এর জন্য দায়ীদের জেল হওয়া উচিত। একইভাবে নবী মুহাম্মদ (স.)-কে যারা অবমাননা করে, তাকে বিদ্রুপ করে, তাদেরও একই শাস্তি হওয়া উচিত। তিনি এক টুইটে বলেছেন, পশ্চিমা সরকারগুলো, যারা হলোকাস্টের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করাকে নিষিদ্ধ করেছে, তাদের কাছে আমি আহ্বান জানাই যেসব মানুষ বা সরকার মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর বিরুদ্ধে ঘৃণা বা অবমাননাসূচক বার্তা ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়িয়ে দেয় তাদের বিরুদ্ধেও একই মানের শাস্তির ব্যবস্থা করুন। তিনি আরও বলেন, আমাদের নবী মুহাম্মদ (স.)-এর প্রতি আমাদের মুসলিমদের রয়েছে গভীর ভালবাসা ও শ্রদ্ধা। তাই আমরা তাঁর বিরুদ্ধে ওই রকম কোনো অশ্রদ্ধা এবং অবমাননা সহ্য করতে পারি না।
উল্লেখ্য, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর ব্যাঙ্গচিত্রের প্রতি ফরাসি সরকারের সমর্থনের বিরুদ্ধে কিছুদিন ধরে উত্তপ্ত পাকিস্তান। এ জন্য গত এক সপ্তাহের বিক্ষোভে বেশ কিছু প্রাণ ঝরে গেছে। এই বিক্ষোভ করেছে তেহরিকে লাব্বায়েক পাকিস্তান (টিএলপি)। তাদের বিক্ষোভ থেকে কমপক্ষে চারজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পর ওই দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
ফ্রান্সের একটি শ্রেণিকক্ষে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর ব্যাঙ্গচিত্র ব্যবহার এবং ম্যাগাজিনে ওই ব্যাঙ্গচিত্র প্রকাশের অধিকারের পক্ষে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন অবস্থান নেয়ার পর নিষিদ্ধ টিএলপি দলটি এক মাস ধরে ইসলামাবাদ থেকে ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন করেছে। এ অবস্থায় ইসলামাবাদে অবস্থিত ফরাসি দূতাবাস তার দেশের জনগণকে পাকিস্তান ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ইমরান খান বলেছেন, দেশে ও বিদেশে মানুষের কাছে আমাকে একটি বিষয় পরিষ্কার করতে দিন। তাহলো যখন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রিট করে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে, রাজপথে সহিংসতা করেছে, জনগণ এবং আইন প্রয়োগকারীদের বিরুদ্ধে হামলা করেছে, তখনই সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে টিএলপির বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন।
সূত্র: ডয়চে ভেলে।