ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফা ভোটগ্রহণের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাত আটটার সময় সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়।
এরপরই বারাসাতে জনসভায় অংশ নিয়ে মমতা বলেন, ‘আমাকে আঘাত করলে আমি প্রত্যাঘাত করি। আমি সহজে ঘরে ঢুকে যাওয়ার লোক নই।
তৃণমূলনেত্রী মমতা বিজেপির কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘আমায় হারানোর ক্ষমতা ওদের কেন, কারও নেই। আমি শেষ পর্যন্ত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মতো লড়াই করে যাব।’
গত সোমবার নির্বাচন কমিশন মমতার প্রচারের ওপর ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মমতা বলেন, ‘আমি বলেছি, ঐক্যবদ্ধভাবে ভোট দাও। কী অন্যায় করেছি।’
এরপরই বিজেপিকে এক হাত নিয়ে মমতা বলেন, ‘বিজেপি একা প্রচার করে যাবে আর তৃণমূল প্রচার করতে পারবে না, এর বিচার জনগণ করবে। আমাকে ওদের এত ভয় কিসের? আমায় এভাবে আটকানো যাবে না। মোদি, অমিত শাহরা যতই চেষ্টা করুক, আমায় আটকাতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমি জানি, আমায় আটকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাকে কিভাবে বধ করা যায়, তার অশুভ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমার ওপর যতই আঘাত হোক না কেন, সব সামলে নেব। কিন্তু বাংলার মাটিকে গুজরাট হতে দেব না।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের নির্বাচন বাংলার ইজ্জতের নির্বাচন। গুণ্ডাদের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচানোর নির্বাচন। দেশকে বাঁচানোর নির্বাচন। তাই সকলের কাছে আবেদন, এবারের ভোট তৃণমূল কংগ্রেসকে দিন।’
মোদি সরকারের সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তো নোটবন্দির সময়ে মোদি সরকার সব কেড়ে নিয়েছে। তাই এবারে ক্ষমতায় এলে আমরা ঠিক করেছি, বাড়ির মা–বোনেদের ৫০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত দেব। সামাজিক সুরক্ষার জন্যই দেব।’
এদিন তৃণমূলনেত্রী আরও বলেন, ‘টাকা দিয়ে হয় না। হৃদয় দিয়ে ভোটটা হয়। তাই ভোট তৃণমূলকে দিন।’