গত ৪ মার্চ আয়ারল্যান্ড উলভ দলের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ চলাকালে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের স্কোর যখন ৩০ ওভার শেষে ১২২/৪, তখন সফরকারী দলের রুহান প্রিটোরিয়াসের কোভিড-১৯ পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট আসে ! সঙ্গে সঙ্গে স্থগিত করা হয় ম্যাচটি।
ওই রিপোর্টের ২৪ ঘন্টা পরই প্রিটোরিয়াসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে ! পজিটিভ থেকে নেগেটিভ রিপোর্ট আসা এই প্রিটোরিয়াসই ৪৮ ঘন্টা পর ব্যাটে ঝড় তুলেছেন,করেছেন ৯০ রান।
চট্টগ্রামে কোভিড-১৯ পরীক্ষার এই ভুল রিপোর্ট সফরসূচি থেকে একটি ম্যাচ হয়েছে স্থগিত। বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবার মান হয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ।
৫ সপ্তাহ আগের এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। গত ১২ এপ্রিল সিলেট ওসমানী মেডিকেল টিম সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে ৫ জনের দেহে কোভিড-১৯ পজিটিভ দিয়েছে !
এই রিপোর্টে সফরকারী দলের ৫ নারী ক্রিকেটার মঙ্গলবার ভোরে দলের সঙ্গে যেতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকায়। দেশে ফিরতে উদগ্রীব এই মেয়েদের রাখার হয়েছিল আইসোলেশনে। সরকার ঘোষিত লক ডাউনের কারণে আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সকল ফ্লাইট বন্ধ থাকবে বলে এই এক সপ্তাহ ঢাকায় আটকা পড়ার শঙ্কা ছিল ওই ৫ নারী ক্রিকেটারের।
কোন উপসর্গ না থাকার পরেও রিপোর্টে পজিটিভ আসা সিলেটের রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় পুনরায় তাদের নমুনা পরীক্ষায় ব্যাপরটি নিশ্চিত হতে চেয়েছে বিসিবি। ঢাকার একটি হাসপাতালের ল্যাবে তাদের সবার রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় উদ্বেগ কেটেছে ওই ৫ নারী ক্রিকেটারের। রিপোর্ট আসার পর আর অপেক্ষা নয়, এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে মঙ্গলবার সন্ধায় দক্ষিণ আফ্রিকার ওই ৫ নারী ক্রিকেটারকে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে বিসিবি। এ তথ্যই দিয়েছেন বিসিবির ওম্যান্স উইং-এর চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। সিলেটের ভুল রিপোর্টে ২৬ জনের স্কোয়াড ২ ভাগে ভাগ হয়ে ফিরলো দক্ষিণ আফ্রিকায়। বার বার ভুল রিপোর্ট বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে করলো আরো একবার প্রশ্নবিদ্ধ।