কঠোর লকডাউনের নির্দেশনার পর থেকে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। এজন্য চাপ বেড়েছে উত্তর বঙ্গের প্রবেশদ্বার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে।
সোমবার সকাল ৬ টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে রেকর্ড সংখ্যক ৩০ হাজারের অধিক যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা। যা স্বাভাবিক সময়ের দ্বিগুন।
এছাড়া পণ্যপরিবহনে নিয়োজিত যানবাহন, ব্যক্তিগত ছোট যানবাহন ও মোটরসাইকেলের আধিক্য থাকলেও বিপুল সংখ্যক যাত্রাবাহী বাস পারাপার হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সেতু কর্তৃপক্ষের একাধিক সূত্র।
সকাল থেকেই বেড়েছে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ। মালবাহী ট্রাকসহ খোলা ট্রাকে, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করে বাড়িতে ফিরছেন সাধারণ মানুষ। ব্যক্তিগত গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়েই বাড়ি ফিরছে যাত্রীরা।
অন্যদিকে দূরপাল্লার গণপরিবহণ চলাচল বন্ধের ঘোষণা থাকলেও মানা হচ্ছে না। মধ্যরাত রাত থেকে ভোর পর্যন্ত নির্বিঘ্নে মহাসড়কে চলাচল করছে এসব গণপরিবহন।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত বলেন, সে সমস্ত বাস মহাসড়কে আটকা পড়েছিলো তারা নিজ নিজ ডিপো বা টার্মিনালে পার্কিং করার জন্য যাচ্ছে। এসব বাসে কোন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে না। মহাসড়ক থেকে কোন প্রকার যাত্রী যেন পরিবহন না করতে পারে সেজন্য মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এর পরেও কিছু বাস গভীর রাতে চুরি করে চলাচল করার চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।