সময়ের দুই সেরা দল পিএসজি আর বায়ার্ন মিউনিখের লড়াই। যে দলই জিতুক, কাজটা ‘অঘটন’ হতে যাবে কেন? বায়ার্ন কোচ হ্যান্সি ফ্লিকের কাছে অন্তত ঠেকছে তেমনই। প্রতিপক্ষ দলে আছে নেইমার, এমবাপেদের মতো তারকা। তার ওপর আছে অন্তত দুই গোল করার বাধ্যবাধকতা, ‘অঘটন’ তো ঠেকারই কথা!
প্রথম লেগে বায়ার্ন নিজেদের মাঠে হেরেছে ৩-২ গোলে। ফলে সেমিফাইনালে যেতে হলে দলটিকে করতে হবে অন্তত দুই গোল। হজম করা চলবে না একটিও। এমন সমীকরণ নিয়েই আজ নেইমারদের ডেরায় পা রাখবে বায়ার্ন। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।
কাজটা যতটা দেখাচ্ছে, তার চেয়েও বেশি কঠিন। প্রতিপক্ষ শিবিরে এমবাপে আছেন আগুনে ফর্মে। প্রথম পাঁচ ম্যাচে গোলহীন থাকার পর যেন ক্যারিয়ারের সেরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফর্মে আছেন তিনি। শেষ চার ম্যাচেই করেছেন ৮ গোল! ইস্তানবুল বাসাকসেহিরের বিপক্ষে জোড়া গোল দিয়ে শুরু, এরপর বার্সেলোনার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক সহ করেছেন চার গোল, বায়ার্নের বিপক্ষে প্রথম লেগে আরও দুটো। পেছনে যদি থাকেন নেইমারের মতো যোগানদাতা, তখন তো দুশ্চিন্তাটা না এসেই যায় না।
সঙ্গে আছে নিজেদের চোট সমস্যা। দুটো গোল তো করতে হবে, কিন্তু তারকা ফরোয়ার্ডদের চোট চোখরাঙানি দিচ্ছে সেটা না হওয়ারই। চোটের কারণে রবার্ট লেভান্ডভস্কি নেই, তার অনুপস্থিতিতে যার আলো কেড়ে নেওয়ার কথা, সেই সের্জ গেনাব্রিও নেই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে।
সেজন্যেই হয়তো, পিএসজির মাঠে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনাটাকে বায়ার্ন কোচ ফ্লিক দেখছেন ‘অঘটন’ হিসেবে। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন, ‘কাজটা বেশ কঠিন, তবে ফুটবলে আপনাকে এমন কিছুর মধ্য দিয়ে যেতেই হবে। তবে পিএসজির মাঠে একটা ছোটখাটো অঘটনই ঘটাতে হবে আমাদের।’
শঙ্কার পিঠে দলটির জন্য অবশ্য আশার আলোও আছে। প্রতিপক্ষের মাঠে জিতেও নিজেদের মাঠে হারার নজির আছে পিএসজির। শেষ কিছুদিনে দলটির ঘরের মাঠে পারফরম্যান্সও খুব একটা ভালো নয়। এই তো শেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হোম ম্যাচেও বার্সার বিপক্ষে ১-১ ড্রয়ে বাধ্য হয়েছিল দলটি।
এদিকে দলটির কোচ মরিসিও পচেত্তিনোও ম্যাচের আগে ঘরের মাঠে ফর্ম নিয়ে মাথা ঘামালেন। বললেন, ‘মানছি, আমরা নিজেদের মাঠের চেয়ে অ্যাওয়ে ম্যাচে তুলনামূলকভাবে ভালো করছি। মৌসুমের শেষে এই বিষয়গুলোর দিকে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। তবে আশা করি, বিষয়গুলো বদলে যাওয়ার শুরুটা আগামীকাল থেকে হবে।’ সব মিলিয়ে বায়ার্ন পিএসজি ম্যাচটা দারুণ রোমাঞ্চের আশাই জাগাচ্ছে।