কঠোর লকডাউনের ঘোষণা এবং রমজানের প্রথমদিনের কথা মাথায় রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে রাজধানীর বাজারগুলোতে ক্রেতাদের ঢল নেমেছে। বাজার দেখে বোঝার উপায় নেই কোনো মহামারী চলছে। সবার কথা একটাই বাজার করতে হবে নাহলে খাবো কি।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) ভোরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র
দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ক্রেতাদের মুখে মাস্ক থাকলেও অধিকাংশ বিক্রেতাদের মুখে মাস্ক নেই। অনেকেই আবার থুতনির নিচে বা কানের পাশে ঝুলিয়ে রেখেছেন মাস্ক।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় ৮৩ জনের মৃত্যু হলেও এর কোনো প্রভাব নেই বাজারে। অসংখ্য ক্রেতা-বিক্রেতা যারা স্বাস্থ্যবিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
তারেক মিয়া নামে এক মুদি দোকানি জানান, করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ভয় আছে। তবে পরিবারের মুখে খাবার তুলে কে দেবে। দোকান বন্ধ রাখলে খাবো কি করে। শুধু তারেক নন অধিকাংশ দোকানির একই ভাষ্য।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) এক জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এখন দুটি—বাজার এবং গণপরিবহন। দেশে এখন পর্যন্ত যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের বড় অংশই হয় বাজারে গেছেন, নয়তো গণপরিবহন ব্যবহার করেছেন।