বেফাঁস মন্তব্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমত ঝড় তুলেছেন আলোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মঈন আলীকে নিয়ে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেন তিনি। অবশ্য তসলিমা নাসরিনকে ছেড়ে কথা বলেননি মঈন আলীর জাতীয় দলের সতীর্থরা। এবার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড, সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বয়কটের ডাক দিয়েছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেন খেলোয়ড়দের কাছে বিষাদে পরিণত হয়েছে। এখানে আলোচনা থেকে সমালোচনা চলে বেশি। ব্যক্তিগত আক্রমণ নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানা বিষয় নিয়ে কটূক্তি, কটাক্ষের পাশাপাশি নিয়মিত বর্ণবিদ্বেষের শিকার হচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যার সবশেষ শিকার মঈন আলী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এমন ব্যবহার নিয়ে সরব হচ্ছেন খেলোয়াড়রা। বিদেশিদের পাশাপাশি বাংলাদেশের সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। এবার তো শুধু প্রতিবাদ জানিয়েছেন ক্ষান্ত যাননি ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। গোটা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বয়কট করে তার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ব্রড বলেন, ‘সত্যিই এগুলো আলোচনার বিষয়। এবার একটা কড়া বার্তা দেওয়ার প্রয়োজন। আমরা চাই না কোনো ছোট বা সংখ্যালঘু মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুযোগ নিয়ে অসদুপায় অবলম্বন করে। এটিকে বন্ধ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। অ্যাপ নির্মাতাদেরও আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।’
ব্রড সঙ্গে জানান, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভালো দিক আছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তা কমে আসছে। যদি কোনো পদক্ষেপ নিতে হয়, তবে সেটি আমাদের ড্রেসিংরুমের নীতিনির্ধারকদেরই নিতে হবে।’
ইতোমধ্যে ইংল্যান্ডের একাধিক ফুটবল ক্লাব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বয়কট করেছে। সোয়ানসি, বার্মিংহাম এবং স্কটিশ চ্যাম্পিয়ন রেঞ্জার্সের ফুটবলাররা গত সপ্তাহে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বারবার বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্যে অত্যন্ত বিরক্ত তারা। এবার একই পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিলেন ব্রড।