চীনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়নি কোনোকিছুতেই। বৈঠকের পর বৈঠক হলেও ছাড় দিয়ে সমাধানে আসছে না কেউ। এর মধ্যে এবার চীনের পানিবিদ্যুতের উৎপাদন ৩ গুণ বাড়াতে ভারতের ব্রহ্মপুত্র নদের প্রবাহের উপর থাবা বসিয়ে তিব্বতে দানবাকৃতি বাঁধ বানাতে চলেছে শি জিনপিংয়ের দেশ। এ খবরে উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে নরেন্দ্র মোদি সরকার। -আনন্দবাজার পত্রিকা
ভারতের পক্ষে উদ্বেগের কারণ, তিব্বতে ওই বাঁধটি যে এলাকায় গড়া হবে সেই এলাকা হিমালয় পর্বতমালার অন্তর্ভুক্ত। সেখান থেকেই ব্রহ্মপুত্র দের উৎপত্তি। নদের প্রবাহ যদি তিব্বতে চীনের প্রস্তাবিত বাঁধের এলাকা শেষ হয়ে যাওয়ার পর হিমালয় ছেড়ে বেরিয়ে আসত তা হলেও ততটা চিন্তার কারণ ছিল না ভারতের, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শোনা যাচ্ছে, চীনকে পাল্টা জবাব দিতে দিল্লিও ব্রহ্মপুত্র নদের নীচের দিকে আর একটা বাঁধ বানানোর কথা ভাবছে। দু’টি বাঁধই ভূকম্পপ্রবণ ব্রহ্মপুত্র নদের লাগোয়া এলাকায় তীব্র ভূমিকম্পের আশঙ্কা বাড়াবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাঁধদু’টির জন্য বহু মানুষকে আশ্রয়চ্যূতও হতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি রয়েছে মধ্য চীনের ইয়াংজে নদীর উপর। তার নাম ‘থ্রি গর্জেস’। চীন চাইছে দেশের পানিবিদ্যুতের উৎপাদন আরও ৩ গুণ বাড়াতে। পানিবিদ্যুতের উৎপাদন খরচ সবচেয়ে কম বলে। তাতে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো বায়ুদূষণ হয় না বলেও। বাঁধ নির্মাণ করার জন্য বেইজিং বেছে নিয়েছে তিব্বতের মেডগ কাউন্টির একটি সুবিশাল এলাকা। বেইজিংয়ের লক্ষ্য, ওই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বছরে ৩০ হাজার কোটি বিদ্যুৎ উৎপাদন।