করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকর প্রমাণিত হওয়া টিকা নেওয়ার পরও ভারতে মহামারি এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ১৮০ জন মারা গেছেন। গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ হিসাব জানিয়েছে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাডভার্স ইভেন্ট ফলোয়িং ইমিউনাইজেশন বা এনইএফআই।
মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত এক পরিস্থিতির মধ্যে ‘পৃথিবীর ফার্মেসি’ হিসেবে খ্যাত ভারত যখন তাদের টিকাদান কর্মসূচি জোরদারের মাধ্যমে ভাইরাসটির বিস্তার নিয়ন্ত্রণে মরিয়া হয়ে উঠেছে, তখন টিকা নিয়েও এত মানুষের মৃত্যুতে উদ্বেগ আরও বাড়ছে।
জানুয়ারিতে দেশে তৈরি করোনার টিকা দিয়ে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছিল ভারত। তবে এখন পর্যন্ত ভারতজুড়ে টিকা নেওয়ার পর এমন নেতিবাচক প্রভাব একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না চিকিৎসক ও গবেষকরা। এনইএফআইয়ের রিপোর্টে বরং উদ্বেগ বেড়েছে।
ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জোটভূক্ত দেশ আর ভারতে টিকা নেওয়ার পর মৃত্যুর ক্ষেত্রে প্রচুর মিল দেখা যাচ্ছে। এই কারণে ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সির (ইএমএ) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা সাধারণ মানুষ, যারাই টিকা নিচ্ছেন, তাদের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধা বা অনুচক্রিকা বা প্লাটিলেট কম হওয়ার ঘটনা দেখা যাচ্ছে। আর এর সবই হচ্ছে দু’সপ্তাহের মধ্যে।
উল্লিখিত বিষয়টিকেও নজরে রাখতে বলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ভারতে টিকা নেওয়ার পর সাতশোটি ‘গুরুতর অসুস্থ’ হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। যাদের রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যাই মূ্লত ধরা পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা।
ভারতে গুজরাট এবং ছত্তিশগড় ছাড়া আর কোনও রাজ্যেই ২০ শতাংশ মানুষকে এখনও টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কেন্দ্রের দাবি, সরকারের কাছে এখনও যথেষ্ট পরিমাণ টিকার মজুত রয়েছে। শুধু মানুষের আগ্রহ কম থাকায় টিকা নেওয়ার হার কম। টিকা নেওয়ার পর একের পর এক মৃত্যু যে মানুষের টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ আরও কমাবে তাতে সংশয় নেই।