দেশের অর্থনীতির কোনো ক্ষতি না করে কাজের জন্য সপ্তাহে চারদিন সময় নির্ধারণ করা যায় কিনা, সে বিষয়ে কাজ শুরু করেছে স্পেন। এজন্য পরীক্ষামূলকভাবে ১০০টি প্রতিষ্ঠানকে এ নিয়মে কাজ করতে বলা হয়েছে।
এর মধ্যে উদ্যোগটি ছোট আকারে পৃথক ব্যবসাক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হচ্ছে। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজের প্রশাসন জাতীয়ভাবে এ কর্মসূচি চালু করতে ৫ কোটি ইউরো অর্থ সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে। খবর ব্লুমবার্গ।
মাস পাইস নামে ছোট একটি বামপন্থী দলের চিন্তা থেকে এ কর্মসূচির ভাবনা পায় সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শের দেশটির সরকার। পরীক্ষামূলকভাবে তারা সপ্তাহের কর্মঘণ্টা ৩২ ঘণ্টায় নামিয়ে আনে।
এখন পর্যন্ত ২০০ কর্মী স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এ কার্যক্রমে অংশ নিতে চেয়েছেন। মাস পাইস দলের নেতা ইনিগো এরেজন বলেন, ৮ ঘণ্টা কর্মঘণ্টা হিসেবে চালু হওয়ার ১০০ বছর পার হয়েছে। এখন সময় এসেছে সপ্তাহে
চারদিন কাজের জন্য বরাদ্দ রাখার। করোনা মহামারীর আগে থেকেই এটির চিন্তা করা হচ্ছিল। তবে মহামারী এসে দেখিয়ে দিয়েছে যে কর্মস্থলে না থেকেও যথাযথ কাজ করা সম্ভব।
নতুন এ নিয়ম চালু করতে স্পেনকে বেশকিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে বেকারত্বের উচ্চহার বিরাজ করছে। সেইসঙ্গে স্বল্প উৎপাদনশীলতা, ইউরোপের সবচেয়ে বেশি মানুষের বসবাসের দেশ হিসেবে এটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। এরেজনের কর্মসূচি অনুযায়ী, কম সময় কাজ করলেও কর্মীরা আগের মতোই বেতন পাবেন।
এ স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় যদি কোনো প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন হয় বা অতিরিক্ত কর্মী রাখতে হয়, তাহলে সরকার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ভর্তুকি দেবে।তবে এর বিপরীত মতও আছে। ফ্রান্সে দুই দশক আগে সপ্তাহের কর্মঘণ্টা কমিয়ে ৩৫ ঘণ্টা করা হয়। এখনো অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এর বিরোধিতা করে।
এসব প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য হলো, কর্মঘণ্টা কমানোতে তাদের ব্যবসার উৎপাদনশীলতা কমে গেছে। অবশ্য শ্রমিক ইউনিয়নগুলো এর বিরোধিতা করেছে।