দুই সপ্তাহের পূর্ণ লকডাউন ছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে গত বুধবার (৭ এপ্রিল) রাতে অনুষ্ঠিত ৩০তম সভায় এমন কথা উঠে আসে।
কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি আজ (শুক্রবার) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।
ভার্চুয়াল ওই সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়। এগুলো হলো:
- ‘সারাদেশে উদ্বেগজনকভাবে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত ১৮টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। পরবর্তীকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও করোনা নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। এগুলো সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না, সংক্রমণের হার বাড়ছে। বিধিনিষেধ আরও শক্তভাবে অনুসরণ করা দরকার । অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন ছাড়া এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলে সভায় মতামত ব্যক্ত করা হয়। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন ও মিউনিসিপ্যালিটি এলাকায় পূর্ণ লকডাউন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। দুই সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।’
- ‘শয্যাসংখ্যা, আইসিইউ সুবিধা, অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচেষ্ট। ডিএনসিসি হাসপাতাল আগামী সপ্তাহের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সরকারি পর্যায়ের এই কার্যক্রমের সাথে পাল্লা দিয়ে হাসপাতালের রোগী ভর্তির বাড়তি চাপ থাকায় অতি দ্রুত আরও সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।’
- ‘সংক্রমণের হার বাড়ার কারণে করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে রোগীর ভীড় বাড়ছে, রিপোর্ট পেতেও সময় লাগছে। যারা টেস্ট করতে আসছেন তাদের একটা বড় অংশ বিদেশগামী যাত্রী। বিদেশে অভিবাসী কর্মজীবী মানুষ ছাড়া অন্য যাত্রীদের বেসরকারি পরীক্ষাগারে পাঠাতে পারলে সরকারি ল্যাবরেটরিতে চাপ কিছুটা কমবে। বিদেশে অভিবাসী কর্মজীবী মানুষ ছাড়া অন্য যাত্রীদের পরীক্ষা বেসরকারি পরীক্ষাগারে পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন। এতে করে রোগীদের পরীক্ষা ও রিপোর্ট দ্রুত প্রদান করে আইসোলেশন নিশ্চিত করা যাবে যা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
- ‘ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম যুক্তরাজ্যে ফলপ্রসূ হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশেও টিকা কর্মসূচী সফল করার লক্ষ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্যে বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন আমদানি করে টিকাদানের সুপারিশ পুনরায় করা হলো।’