spot_img

বইমেলায় অভিনেত্রী ভাবনার পোশাক নিয়ে ট্রল: প্রতিবাদ জানালেন তিনি

অবশ্যই পরুন

এবারের বই মেলায় অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনার দু’টি বই প্রকাশিত হয়েছে। সেই উপলক্ষে তিনি গিয়েছিলেন বইমেলায়। সেখানে তার লেখা বই নিয়ে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হলেও তার পোশাক নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।

ভাবনা মেলায় আসেন শাড়ি ও স্লিভলেস ব্লাউজ পরে। সেখানে তিনি ভক্তদের অটোগ্রাফ দেন ও ছবি তোলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন বেশ কয়েকটি ছবি ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা ছবিগুলো শেয়ার পাশাপাশি তার পোশাক ও রুচি নিয়ে নানা মন্তব্য করেন।

বিষয়টি তারও নজরে আসে। দু’টি স্টাট্যাসের স্ক্রিনশর্ট শেয়ার করে তার ক্যাপশনে ভাবনা লিখেন, আমার দোষ আমি হাটাকাটা ব্লাউজ পরে বইমেলায় গিয়েছি? সত্যি! আমাদের নানী দাদীরা এখনও হাটাকাটা ব্লাউজ পরে থাকেন। এই ছবিটি সবাই পোস্ট করছে , আমাকে নিয়ে বাজে কথা লিখছে। অশ্লীল বলছে! যারা পোস্ট করে বাজে লিখছে তারা বেশিরভাগ পুরুষ । সব পুরুষ কে খারাপ বলব কি করে? আমার বাবা তো আমাকে কখনো বলে দেয় নি কি পোশাক পরা উচিত? আমি কি পরব? আমরা নারীরা কি পরব তা ঠিক করবেন আপনি? আমার সত্যি কিছু বলার নেই। গত তিন চার দিন ধরে আমি বিরক্ত খুবই ,এবং হতাশ ও আমরা আসলেই কি নারীর সম্মান কখনই দিতে পারব না!’

বিষয়টি নিয়ে অন্য একটি পোস্টে তিনি লিখেন, ‘২০২১ সালে স্লিভলেস ব্লাউজ নিয়ে কথা বলতে হয়, এটা নিয়ে আমাকে হেয় করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু নেই। ষাটের দশকে, সত্তর দশকেও স্লিভলেস ব্লাউজ পরতো আমাদের দাদি-নানিরা। তখনও এটা স্বাভাবিক ছিল। এখনও তাই আছে বলে আমি বিশ্বাস করি ।অথচ এই সময়ে এসে স্লিভলেস ব্লাউজের কারণে কথা হচ্ছে- এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে? আমি কেবল তাদের কথা ভাবি ,যারা প্রতিদিন বাসে যায় ,যারা প্রতিদিন পার্লারে কাজ করে রিক্সা করে বা হেটে বাড়ি ফেরে ,প্রতিমুহূর্তে আমাদের সচেতন থাকতে হবে, কাপড় ঠিক করতে হবে? কতটা জঘন্য এদের মানসিকতা! এরাই ধর্ষক। আমি এসব নিয়ে পাত্তা দেই না , কারন আমার সময় নেই ,বা আমি অভ্যস্ত বা আমি অভিনয় করি ,আমাকে টেলিভিশনে দেখা যায় ,তাই আমাকে নিয়ে যে কেউ যা খুশি তাই বলার অধিকার রাখে । এবং আমি এসব পাত্তা দেব না এটাই সদা সত্য , তবে আমি তাদের নিয়ে ভাবি ,কত মেয়েকে সাইবার বুলির শিকার হতে হয় প্রতিনিয়ত , আমার কাপড় নিয়ে কথা বলার তুই কে? আমাদের সরকার- আমাদের পুলিশ যদি একটু সহায়তা করতো তাহলে এইসব অপরাধ হয়তো অনেকটা কমে যেতে পারতো। সাইবার ক্রাইমের তত্ত্বাবধানে যদি ১০ জন এরকম অপরাধীকে ধরে শাস্তি দেওয়া যেত তাহলে একটা দৃষ্টান্ত তৈরি হতে পারতো। এই দৃষ্টান্ত এইসব অপরাধ অনেক কমিয়ে দিতে পারতো।’

ভাবনার এই দুই স্টাট্যাসের নিচে অনেকেই আবার তাকে সমার্থন করে বিভিন্ন মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য, এবারের একুশে গ্রন্থমেলায় অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনার বই দুটির একটি হলো উপন্যাস ‘গোলাপী জমিন’ আর অন্যটি কবিতার বই ‘রাস্তার ধারে গাছটির কোনো ধর্ম ছিল না’।

সর্বশেষ সংবাদ

কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না নয়: আইজিপি

পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাসমূহ যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ