spot_img

ফখরের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের সিরিজ জয়

অবশ্যই পরুন

দুই ম্যাচে দুই দলের জয় একটি করে। তৃতীয় ম্যাচটি রূপ নিয়েছিল অলিখিত ফাইনালে। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ওই ফাইনাল জিতল পাকিস্তান।

বুধবার সেঞ্চুরিয়নে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৮ রানে হারিয়েছে বাবর আজম শিবির। সেইসাথে ২-১ ব্যবধানে স্মরণীয় সিরিজ জয়। আট বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতল পাকিস্তান। এর আগে সর্বশেষ সিরিজ জয় ছিল পাকিস্তানের ২০১৩ সালে।

বুধবার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান করে সাত উইকেটে ৩২০ রান। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে যায় ৪৯.৩ ওভারে ২৯২ রানে।

জিততে হলে করতে হবে রেকর্ড ৩২১ রান। সেঞ্চুরিয়নে এত রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার। সম্ভাবনা তৈরি করলেও শেষ অবধি পারেনি প্রোটিয়ারা। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই ছিল তাদের। প্রথম তিনটি জুটি আশা জাগিয়েছিল। মাঝে ছন্দপতন পাক বোলারদের তোপে। ষষ্ঠ উইকেটে পেহলুকোয়া ও ভেরেনের ১০৮ রানের জুটি পাকিস্তানকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল।

ভেরেনেকে আউট করে সে শঙ্কা দূর করেন হ্যারস রউফ। পেহলুকোয়াকে বিদায় করেন হাসান আলী। এই দুজনের বিদায়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার সব আশা শেষ হয়ে যায়।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেন ওপেনার জানেমান মালান। ৫৩ বলে তিনটি করে চার ও ছয়ে ৬২ রান করেন ভেরেনে। ৬১ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৫৪ রান করেন পেহলুকোয়া। পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি তিনটি করে উইকেট নেন। হ্যারিস রউফ দুটি, হাসান আলী ও অভিষিক্ত উসমান কাদির নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ পাকিস্তানের। উদ্বোধনী জুটিতে ইমামুল ও ফকর জামান তোলেন ১১২ রান। ফিফটি করে মাহারেজের বলে বিদায় নেন ইমামুল হক। ৭৩ বলে তিনি করেন ৫৭ রান। তার ইনিংসে ছিল মাত্র তিনটি চারের মার।

এরপর অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গেও দারুণ জুটি হয় ফকরের। এই জুটি দলকে নিয়ে যায় ২০৬ রান অবধি। সেঞ্চুরি করে বিদায় নেন ফকর জামান। ১০৪ বলে তিনি করেন ১০১ রানের ঝলমলে ইনিংস। নয় চারের সঙ্গে তিনি হাকান তিনটি ছক্কা। ওযানডে ক্যারিয়ারের ফকরের এটি ষষ্ঠ শতক, টানা দ্বিতীয়।
এরপর বড় কোন জুটি হয়নি। বাবরকে সঙ্গ দিতে এসে দ্রুত ফিরে যান মোহাম্মদ রিজওয়ান (২), সরফরাজ আহমেদ (১৩), ফাহিম আশরাফ (১), মোহাম্মদ নওয়াজ (৪)।

২৫৭ রানে ছয় উইকেট হারানো পাকিস্তানকে তিনশর উপর রানে নিয়ে যান বাবর-হাসান জুটি। ইনিংসের শেষ বলে আউট হন বাবর। আক্ষেপ নিয়ে ফিরেন সাজঘরে। ৮২ বলে তিনি করেন ৯৪ রান। সাত চারের সঙ্গে তিনি ছক্কা হাঁকান তিনটি। তবে ছোট্ট ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন হাসান আলী। মাত্র ১১ বলে করেন ৩২ রান। যার মধ্যে একটি চার, আর ছক্কা ছিল চারটি। ৭ উইকেটে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাড়ায় ৩২০ রান।

বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মাহারাজ তিনটি ও মারক্রাম দুটি উইকেট লাভ করেন।

ওয়ানডে সিরিজ শেষ। এবার পালা টি-টোয়েন্টির। ১০ এপ্রিল জোহানেসবার্গে চার ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

সশস্ত্রবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়লো আরও ৬০ দিন

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরো দুই মাস (৬০...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ