বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ব্রাজিল ও ভারতে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু দেখা যাচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ২০ লাখে পৌঁছাতে এক বছরের বেশি সময় লাগলেও পরের ১০ লাখ যোগ হয়েছে মাত্র তিন মাসেই।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এজন্য করোনাভাইরাসের তুলনামূলক বেশি সংক্রামক ধরনগুলো এবং লকডাউন ও অন্যান্য বিধিনিষেধ মানার বেলায় জনসাধারণের অবহেলাকেই দোষারোপ করছেন।
ডব্লিউএইচও জানায়, গত কিছুদিন ধরে সারা বিশ্বের মধ্যে ব্রাজিলেই করোনায় দৈনিক মৃত্যুর এক চতুর্থাংশ ঘটনা ঘটছে।
সংস্থাটি জানায়, ব্রাজিলের পরিস্থিতি খুব খারাপ, সেখানকার অনেকগুলো রাজ্যের অবস্থা গুরুতর। দেশটির অনেকগুলো হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের ৯০ শতাংশের বেশি আসনই পূর্ণ।
এদিকে ভারতও সোমবার রেকর্ড সংক্রমণ দেখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে সেদিন দেশটির দৈনিক শনাক্ত লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
দেশটিতে কোভিড-১৯ এ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মহারাষ্ট্র হাসপাতালগুলোতে রোগীর ভিড় এড়াতে সোমবার থেকেই শপিং মল, সিনেমা, বার, রেস্তোরাঁ ও ধর্মীয় স্থাপনাগুলো বন্ধ করে দেওয়া শুরু করেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে বিশ্বে এখন পর্যন্ত যত মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে প্রায় ১১ লাখই দেখেছে ইউরোপ। এ সংখ্যা এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশের বেশি।
ইউরোপের ৫১টি দেশের মধ্যে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইতালি ও জার্মানি- এই ৫টি দেশ পুরো অঞ্চলের কোভিডজনিত মৃত্যুর ৬০ শতাংশের সাক্ষী হয়েছে।
৫ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মৃত্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখনও মৃত্যুর তালিকায় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে সবার উপরে অবস্থান করছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে দেখা গেলেও ব্যাপক হারে টিকাদানের কারণে মৃত্যুর সংখ্যার উল্লম্ফন ঠেকানো যাবে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আশা করছেন।
দেশটির মোট জনগোষ্ঠীর এক তৃতীয়াংশ এর মধ্যেই টিকার অন্তত প্রথম ডোজ পেয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
রোববার পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৩৭ কোটি ৩ লাখ মানুষ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অন্তত একটি ডোজ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে তথ্য সরবরাহকারী ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডাটা; এ সংখ্যা বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় পৌনে ৫ শতাংশ।