spot_img

যেকোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসতে হবে : সেনাপ্রধান

অবশ্যই পরুন

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলাসহ দেশের আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। একই ধারায় ভবিষ্যতেও মাতৃভূমির অখণ্ডতা রক্ষা তথা জাতীয় প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। সেনাবাহিনীর সবাইকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশমাতৃকার যেকোনো প্রয়োজনে এগিয়ে আসতে হবে।

মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) সকালে যশোর সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর চারটি ইউনিটের রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ একটি আধুনিক, যুগোপযোগী এবং চৌকস বাহিনী হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই যুগান্তকারী উদ্যোগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

রেজিমেন্টাল কালারপ্রাপ্ত ইউনিটসমূহকে অভিনন্দন জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, রেজিমেন্টাল কালারপ্রাপ্তি যেকোনো ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান এবং পবিত্র আমানত। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে এই বিরল প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে আরও অধিক গৌরবের ও আনন্দময়। তিনি কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্ত পতাকার মর্যাদা রক্ষা এবং দেশমাতৃকার যেকোনো প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটসমূহকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেন।

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ১৬ ও ১৭ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন এবং ১০ ও ১১ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন এই কালার প্যারেডে অংশগ্রহণ করে। তারা প্রধান অতিথির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করে।

এর আগে যশোর সেনানিবাসের এসটিসিঅ্যান্ডএস প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাপ্রধান উপস্থিত হলে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার তাকে অভ্যর্থনা জানান। প্যারেড কমান্ডার লে. কর্নেল মো. শাহাবউদ্দিনের নেতৃত্বে কালার প্যারেডে অংশগ্রহণকারী ব্যাটালিয়নসমূহের সম্মিলিত চৌকস দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাপ্রধানকে জেনারেল সালাম প্রদান করে। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন পদবীর সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা, দেশ ও জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং বিবিধ প্রশিক্ষণ ও অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ একটি ইউনিট বা রেজিমেন্টকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

বিভক্ত হলে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হওয়ার পথ খুঁজে পাবে: জামায়াত আমির

দেশের মানুষ ৭ নভেম্বর ও ৫ আগস্টের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ