মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সাত দিনের বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে আজ মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকাতে কোনো গণপরিবহন চলাচল করেনি। সকাল থেকে রাস্তায় রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি (প্রাইভেট কার) ছিল। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কম থাকায় চাকরিসহ নানা কাজে বের হওয়া মানুষকে দ্বিগুণ ভাড়ায় গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে। এতে অফিস ও জরুরি কাজে বাইরে বের হওয়া মানুষদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিরপুর, আসাদগেট, ধানমন্ডি, কলাবাগান, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
অনেকের অফিস খোলা থাকার কারণে তাদের বাইরে বের হতে হচ্ছে। আবার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বা ওষুধের জন্যও কেউ কেউ বের হচ্ছেন।
ধানমন্ডি থেকে রিকশায় করে মতিঝিল যাচ্ছিলেন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা ফারিয়া আহমেদ। তিনি বলেন, আগে লাগতো ৬০ থেকে ৮০ টাকা, এখন সে ভাড়া দিতে হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। যখন সিএনজি নিতে চাইলাম সে ভাড়া শুনে তো তাজ্জব। ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা ভাড়া চাইলো সিএনজি চালক।
রিকশার চাহিদা বেশি থাকায় রিকশাচালকরাও সুযোগ বুঝে বেশি ভাড়া নিচ্ছেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের। নিউমার্কেট থেকে ফর্মগেট আসা বেসরকারি চাকরিজীবী জালাল উদ্দিন বলেন, আগে নিউমার্কেট থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যেতে ৪০-৫০ টাকা রিকশা ভাড়া লাগত। এখন রিকশাচালকরা ১০০-১৫০ টাকা চাইছেন। এত বেশি ভাড়া দিয়ে কীভাবে যাব? আর সিএনজি ভাড়া চায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।
সিএনজিচালিত অটোরিকশায় শেওড়াপাড়া থেকে কারওয়ান বাজারে আসতে আগে ভাড়া লাগতো ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। সেখানে এখন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার নিচে চালকদের সঙ্গে কথাই বলা যায় না বলে জানান কাজীপাড়া থেকে কারওয়ান বাজারগামী বেসরকারি চাকরিজীবী ফরিদ আলম।
কারওয়ান বাজারে দেখা হয় রিকশাচালক কামাল মিয়ার। ভাড়া বাড়িয়ে নেয়ার কারণ চাইলে তিনি জানান, গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে তাদের আয় একটু বেশি হচ্ছে। তবে খরচও বাড়ছে। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেশি ভাড়ায় যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছেন।