সদ্যই শেষ হওয়া নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে খেললেও টি-টোয়েন্টি খেলেননি তামিম ইকবাল। এরইমধ্যে আবার এ তারকা জানিয়েছিলেন দ্রুতই যেকোন একটি ফরম্যাট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবেন। তাইতো ভক্তদের মনে প্রশ্ন ছিল, কোন ফরম্যাটে খেলবেন না তিনি। অবশেষে উত্তরটা দিয়েছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার। সাবেক এ ক্রিকেটার বলছেন, এ মুহূর্তে টেস্ট ও ওয়ানডে নিয়ে ভাবছে তামিম।
তামিমের মূল অগ্রাধিকার টেস্ট ও ওয়ানডে। তবে টি-টোয়েন্টিতেও এখনো থাকছেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন হাবিবুল বাশার, ‘তামিম এই মুহূর্তে টেস্ট ও ওয়ানডে নিয়ে ভাবছে। টি-টোয়েন্টি থেকে একদম পুরোপুরি বিদায় নেয়নি।’
করোনাভাইরাসের সময় লম্বা হওয়াতেই জৈব সুরক্ষা বলয়ে খেলাটা হয়েছে কঠিন। এই কারণেই সবাইকে সব সময় পাওয়া যাবে না বলে মত হাবিবুলের, ‘সবাইকে বুঝতে হবে যে মহামারীর সময়টা সবার জন্য কঠিন। খেলোয়াড়দের জায়গায় নিজেকে দাঁড় করালে বুঝতে পারবেন কতটা কঠিন জীবন। আপনি দেশের মাটিতে আছেন একমাস পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না। ওরা কিন্তু এসবের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে প্রায় এক বছর। পরিবারের সঙ্গে চারদিন থেকে আবার চলে যায়। নিউজিল্যান্ড থেকে এসে এক সপ্তাহ পর আবার শ্রীলঙ্কায়। আর যারা অনেকদিন খেলে পেলে তাদের জন্য কিন্তু পরিবারকে সময় দেওয়া প্রয়োজন হয়। শুধু আমাদের দেশে নয় সবাই এরকম করছে। ইংল্যান্ড তো রোটেশন পদ্ধতি চালুও করে দিয়েছে। আমরা হয়তো অতটা করবোনা। কিন্তু তারা যদি একটা দুইটা ফরম্যাট বাছতে চায় সেটা আমাদের সবাইকে বুঝতে হবে।’
আপাতত টি-টোয়েন্টি না খেললেও এ বছর এ সংস্করণের বিশ্বকাপে তামিম এভেইলেবল থাকবেন বলে ধারণা হাবিবুলের। একই সঙ্গে নতুনদের তৈরি করে রাখা ও তাদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার পক্ষে নির্বাচকরা, ‘একটা না একটা সময় নতুন কাউকে আসতেই হবে। এটা ৩-৪ বছর পরে হোক কিংবা তারও আগে হোক। আমরা নতুনদের কাছ থেকে সাকিব-তামিমের পারফরম্যান্স আশা করছি। এটা সবার দ্বারা সম্ভব হবে না। সাকিব, তামিমও কিন্তু সময় নিয়েছে ২-৩ বছর বা আরও বেশি সময় লেগেছে এখনকার অবস্থানে আসতে। আমরা যদি ধৈর্য ধরি একটু সময়ে দিই… আমি বলছি ছেলেরা কিন্তু যথেষ্ট প্রতিভাবান।’