মহামারি অবসানের লক্ষ্যে যত দ্রুত সম্ভব দেশের সব বাসিন্দাকে করোনার টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে দশ কোটি মানুষ করোনার টিকা নিয়েছেন। এ হিসাব স্থানীয় সময় শুক্রবার পর্যন্ত।
এএফপি এ খবর জানিয়ে লিখেছে, দেশের মোট প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রায় অর্ধেককে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন চাকরি তৈরিরও রেকর্ড হয়েছে। শিথিল হয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু এলাকায় মহামারি এই ভাইরাসের সংক্রমণ এখনো ঊর্ধ্বমুখী।
অবকাশযাপন ও এ সংক্রান্ত শিল্পের পুনরুজ্জীবন নতুন করে চাকরির ক্ষেত্র তৈরির ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম মন্ত্রণালয় সম্প্রতি জানিয়েছে যে, গত মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আরও ৯ লাখ ১৬ হাজার চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু এলাকায় মহামারি এই ভাইরাসের সংক্রমণ এখনো ঊর্ধ্বমুখী। ফলে আমেরিকানদের মাস্ক পরা ও অন্যান্য বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সবাইকে শেষ সময় পর্যন্ত সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
আপনাদের সকলের প্রতি অনুরোধ, আমরা সবাই মিলে এতদিনে যে অগ্রগতি অর্জনের জন্য এত কঠিন লড়াই করলাম তা বৃথা যেতে দেবেন না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
বাইডেন শুক্রবার বলেছেন, ‘আপনাদের সকলের প্রতি অনুরোধ, আমরা সবাই মিলে এতদিনে যে অগ্রগতি অর্জনের জন্য এত কঠিন লড়াই করলাম তা বৃথা যেতে দেবেন না। আমাদের এই কাজটা শেষ করতে হবে। দৃঢ়চিত্তে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করে শেষ সময় পর্যন্ত সব আমেরিকানের সতর্ক থাকাটা খুবই প্রয়োজন।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) তাদের নির্দেশনা হালনাগাদ করে জানিয়েছে, যারা টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন তারা কোয়ারেন্টাইন ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে তাদেরকে মাস্ক পরতে হবে।
মহামারি করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সাড়ে ৫ লাখের বেশি মানুষের কেড়েছে করোনা। বাইডেনের পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিধিনিষেধ জারিতে অনীহা থাকায় দেশটির করোনা পরিস্থিতি এক সময় ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করেছিল। এ জন্য বিশ্বজুড়ে সমালোচিতও হয়েছিলেন তিনি।