spot_img

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় জয় পেলো পাকিস্তান

অবশ্যই পরুন

পুরো ম্যাচেই নিয়ন্ত্রণ ছিল পাকিস্তানের। তারপরও সহজ ম্যাচ কঠিন হলো শেষ ওভারে। যেখানে রাজ্যের উত্তেজনা কাটিয়ে শেষ অবধি জয় পেল পাকিস্তান। শুক্রবার সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে বাবর আজম শিবির। তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল সফরকারী পাকিস্তান।

আগে ব্যাট করতে নেমে ভ্যান ডার ডসনের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ২৭৩ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে পাকিস্তান বাবর আজমের সেঞ্চুরিতে লক্ষ্যে পৌছায় শেষ বলে, সাত উইকেট হারিয়ে।

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। দলীয় ৯ রানে রাবাদার বলে বোল্ড ওপেনার ফকর জামান (৮)। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে পাকিস্তানের জয়ের ভিত্তি গড়ে দেন অধিনায়ক বাবর আজম ও ওপেনার ইমাম উল হক। এই জুটি থেকে আসে গুরুত্বপূর্ণ ১৭৭ রান।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৩তম সেঞ্চুরি করে বিদায় নেন বাবর। ১০৪ বলে তিনি করেন ১০৩ রান। নরজের বলে ককের হাতে ক্যাচ দেন পাক অধিনায়ক। তার ইনিংসে ছিল ১৭টি চারের মার। ছিল না ছক্কা।

দলীয় ১৯৩ রানের মাথায় বিদায় নেন ওপেনার ইমামউল হক। তিনিও নরজের শিকার। ৮০ বলে তিনি করেন ৭০ রান। রানের গতি ভালো থাকায় পুরো ম্যাচে কখনো মনে হয়নি পাকিস্তান হেরে যাবে।

কিন্তু শেষের দিকে এসে ম্যাচে বাড়ে উত্তেজনা। বিশেষ করে শেষ ওভারে মনে হচ্ছিল হেরেই যাবে পাকিস্তান। ৬ বলে দরকার মাত্র তিন রান। এমন ম্যাচ মুহূর্তেই বাঁক নেয় প্রোটিয়াদের দিকে। পেহলুকোয়ার প্রথম বলে বাজে শট খেলে বিদায় নেন সেট ব্যাটসম্যান শাদাব খান (৩৩)। পরের টানা তিন বল ডট।

পঞ্চম বলে দুই রান নিতে পারেন ফাহিম। স্কোর লেভেল। এক বলে দরকার এক রান। ফিল্ডাররা ঘিরে ধরে চার দিক থেকে। কিন্তু ফাহিমের শটে বল চলে যায় বাউন্ডারি লাইন পেরিয়ে। স্বস্তির এক জয়ই পায় পাকিস্তান।

মিডল অর্ডারে পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান করেন ৪০ রান। অভিষেকে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি দানিশ আজিজ। তিনি করেন তিন রান। আসিফ আলী করেন ২ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন নরজে।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫৫ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে কোনঠাসা অবস্থায় ছিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওপেনার মারক্রাম (১৯) ও কুইন্টন ডি কককে (২০) ফেরান পাক পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি।

অধিনায়ক বাভুমা টিকতেই পারেননি। ১ রান করে বিদায় নেন হাসনাইনের বলে। অধিনায়কের মতো ঠিক ১ রান করে ফাহিমের বলে সাজঘরে ফেরেন হেনরিকস ক্লাসেন। পঞ্চম উইকেট জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে খেলায় ফেরান ভ্যান ডার ডসন ও ডেভিড মিলার। এই জুটিতে আসে ১৩৫ বলে ১১৬ রান।

দলীয় ১৭১ রানে ফিফটি করে বিদায় নেন মিলার (৫০)। ২৮ রান করেন পেহলুকোয়া। দারুণ এক সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন ভ্রান ডার ডসন। ১৩৪ বলে ১২৩ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও দুটি ছক্কার মার। পেসার রাবাদা ছিলেন ১৩ রানে অপরাজিত।

পাকিস্তানের হয়ে হ্যারিস রউফ ও শাহিন শাহ নেন দুটি করে উইকেট। হাসনাইন ও ফাহিম পান একটি করে উইকেট। এই ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে অভিষেক হয় দানিশ আজিজের। বল হাতে তিন ওভার বল করেন। রান দিয়েছেন ১৬। উইকেটের দেখা পাননি।

সর্বশেষ সংবাদ

মুজিববর্ষের নামে ভাস্কর্য-ম্যুরালে হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট: শফিকুল আলম

মুজিববর্ষের নামে কত টাকা অপচয় করা হয়েছে তা বর্তমান সরকার খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ