spot_img

জান্তার নজরে এবার মিয়ানমারের রেডক্রসের স্বাস্থ্যকর্মীরা

অবশ্যই পরুন

গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির নেত্রী অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে। মিয়ানমারে কর্মরত রেডক্রসের স্বাস্থ্যকর্মীদের গ্রেফতার, ভীতি প্রদর্শন ও আঘাত করছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে মানবিক সহায়তাদানকারী আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল রেডক্রস অ্যান্ড রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি।

গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে চলমান বিক্ষোভ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা বাহিনীর দমনপীড়ন ও গুলিতে আহতদের সেবাদানের অভিযোগে রেডক্রস কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।

২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারে এ পর্যন্ত দেশটির সামরিক বাহিনীর হাতে নিহতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে; আহত হয়েছেন আরো কয়েক হাজার।

এ পর্যন্ত দুই হাজারেরও বেশি আহতকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন মিয়ানমার রেডক্রসের স্বাস্থ্যকর্মীরা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রেডক্রসের যেসব স্বাস্থ্যকর্মী চিকিৎসা সেবার সঙ্গে যুক্ত, বর্তমানে তারা ক্ষমতাসীন জান্তার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছেন।

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রসের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক আলেক্সান্ডার ম্যাথিউ বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে বলেন, ‘মিয়ানমার রেডক্রসের মানবিক সহয়তা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার, ভীতি প্রদর্শন এবং আঘাত করা হচ্ছে। রেডক্রসের সম্পত্তি ও অ্যাম্বুলেন্সগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে। এটা কখনওই গ্রহণযোগ্য নয়।’

‘দুর্গত-পীড়িত মানুষকে সেবা দেওয়াই স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদেরকে নিজেদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। তা না করে তাদেরকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা, হয়রানি করা তীব্রভাবে নিন্দনীয়।’

তবে বিবৃতিতে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার বা সরকারের কোনো কর্মকর্তার নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আলেক্সান্ডার ম্যাথিউয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বার্তাসংস্থা রয়টার্স; তবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

কয়েকটি ভিডিওচিত্রে অবশ্য দেখা গেছে, দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা স্বাস্থ্যকর্মীদের হামলা, গ্রেফতার ও নির্যাতন করছেন। একটি অ্যাম্বুলেন্সকে লক্ষ্য করে তারা গুলি করছেন— এমন ভিডিও চিত্রও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে দেখা যাচ্ছে; তবে নির্যাতনের শিকার ওই স্বাস্থ্যকর্মীরা রেডক্রসের কিনা তা যাচাই করে দেখতে পারেনি রয়টার্স।

গত দু মাস ধরে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও সামরিক সরকারের দমন অভিযানের ফলে মিয়ানমারের যাতায়াত ও যোগাযোগব্যবস্থা ও ব্যাংকিং খাত প্রায় ভেঙে পড়ার পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফলে দেশটিতে মানবিক সহায়তা ও স্বাস্থ্যসেবাদান কার্যক্রম চালানো দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে রেডক্রসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জন্য।

এছাড়া করোনা মহামারি বিষয়ক টেস্টিং, ট্রেসিং এবং চিকিৎসাসেবাও গত দুই মাসে দেশটিতে হ্রাস পেয়েছে ব্যাপকভাবে।

‘অদূর ভবিষ্যতে মিয়ানমারে আমরা একটি বড় দুর্যোগের মুখে পড়তে যাচ্ছি। দেশটিতে করোনার সংক্রমণ উত্তরোত্তর বাড়ছে এবং বর্তমানের রাজনৈতিক অস্থিরতা বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে কী হবে, সংকট কত গভীর রূপ নেবে, তা কল্পনা করাও কঠিন’— বিবৃতিতে বলেন ম্যাথিউ।

সর্বশেষ সংবাদ

আইপিএলের নিলামে এক বছরে ‘৪৯ সেঞ্চুরি’ করা ১৩ বছর বয়সী বৈভব

সময়ের সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। যেখানে দেখা মেলে, হালের অন্যতম সেরা তারকাদের। অনেকের মতে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ