মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসঙ্ঘ এশীয় দূত দেশটির ক্রমবর্ধমান সঙ্কটের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। জান্তা বাহিনী গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের ওপর সহিংস দমনপীড়ন চালানোর প্রেক্ষাপটে তিনি গৃহযুদ্ধ ও ব্যাপক রক্তপাতের ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্ক করেছেন।
মিয়ানমারের নির্বাচিত নেতা অং সান সুচি গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনের বিক্ষোভে সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৫২০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আর এই সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে মিয়ানমারের এক দশকের গণতন্ত্রের অভিজ্ঞতার কবর রচিত হয়েছে।
এএফপি জানায় জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন স্করেনার বার্জানার রুদ্ধদ্বার সেশনে বলেন, ‘মিয়ানমারের জনগণের ন্যায্য দাবি আদায়ে এবং দেশটির বহুমাত্রিক বিপর্যয় ঠেকাতে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণে সহজলভ্য সকল উপায় অবলম্বনের কথা বিবেচনা করতে আমি নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, তিনি জান্তার সাথে সংলাপের পথ খোলা রেখেছেন। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যদি কেবলমাত্র তাদের আলোচনার প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা করি, তাহলে দেশটির সার্বিক পরিস্থিতির কেবলই অবনতি ঘটবে। সেখানে যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে দেশটিতে ব্যাপক রক্তপাত আসন্ন হয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত ব্রিটেনের দূত বারবারা উডওয়ার্ড সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপত্তা পরিষদ ‘ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের নিন্দা’ জানিয়েছে এবং তারা মিয়ানমার সঙ্কটের সমাধানে পদক্ষেপের পরিসর নিয়ে আলোচনা করছে। ব্রিটেনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা পরিষদের এ বৈঠক আহ্বান করা হয়।
এদিকে মিয়ানমারের প্রধান মিত্র দেশ চীন নেপিদোর বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয় নাকচ করে দিয়েছে।
সূত্র : বাসস