প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের উৎস অনুসন্ধানে গবেষণার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যে প্রতিনিধি দল চীনে গিয়েছিল তাদেরকে এ মহামারী নিয়ে সব তথ্য দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়াসুস।
২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের উহান শহর থেকে সারা বিশ্বে করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম শনাক্ত হওয়ার এক বা দুই মাস আগে থেকে এটি ছড়ানো শুরু হয়েছিল বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি খসড়া রিপোর্টে বলা হয়েছিল।
ঠিক কোথায় থেকে এ রোগ মানবদেহে প্রবেশ করেছে তা জানতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাধীন গবেষকদের একটি দল গত জানুয়ারিতে চীনে যায় এবং ৪ সপ্তাহ ধরে উহানের ভেতরে ও চারপাশে অনুসন্ধান চালায়। চীন তাদেরকে একেবারে প্রাথমিক তথ্য (র ডেটা) দেয়নি বলে জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক।
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশ চীনকে দ্রুত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষক দলকে সব জায়গায় স্বাধীনভাবে অনুসন্ধান চালানোর এবং সব তথ্য প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, খুব সম্ভবত ভাইরাসটি বাদুড় থেকে অন্য প্রাণী হয়ে মানব দেহে প্রবেশ করেছে। সেখানে আরও বলা হয় গবেষণাগার থেকে ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম’।
চীনের বিজ্ঞানী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বাধীন দল যৌথভাবে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিদলের একজন এরই মধ্যে বলেছেন, চীন করোনা শনাক্তের একেবারে শুরুর দিকের প্রাথমিক তথ্য তাদের দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। যে কারণে, কিভাবে এই মহামারী বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে তা বুঝতে পারা তাদের জন্য অনেক বেশি জটিল হয়ে পড়ছে।
মঙ্গলবার তেদ্রোস বলেন, দলের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। তারা বলেছেন, তারা প্রাথমিক তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। আমি ভবিষ্যতে আরও সময় নিয়ে আরও বিস্তৃত তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে আরও সহযোগিতামূল গবেষণা দেখতে চাই।