spot_img

ইউরোপের করোনা-সঙ্কট চরমে

অবশ্যই পরুন

ফ্রান্স ও জার্মানির কোভিড-পরিস্থিতি অবনতির কারণে গোটা ইউরোপেই মহামারি-সঙ্কট চরমে উঠেছে। ইতিমধ্যেই ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়েছে জার্মানি। তার পরেও প্রদেশগুলিকে সংক্রমণ রুখতে আরও বিধিনিষেধ আরোপের পরামর্শ দিয়েছেন জার্মান চান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল।

এ দিকে, টানা কয়েক সপ্তাহ সংক্রমণের গতি নিম্নমুখী থাকার পরে যুক্তরাষ্ট্রেও বাড়ছে করোনা। মৃতের হার কমলেও গত সপ্তাহেই দেশে সংক্রমিত হয়েছেন সাড়ে ৬১ হাজারের বেশি মানুষ। আগের দু’সপ্তাহের তুলনায় যা ১১ শতাংশ বেশি। সোমবার থেকে লকডাউন খানিকটা শিথিল করা হয় ব্রিটেনে। ধীরে ধীরে বিধি আলগা করে ২১ জুনের মধ্যে পারস্পরিক মেলামেশায় সব রকমের কড়াকড়ি তুলে নিতে চায় ব্রিটেন।

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল রোববার বলেছেন, ‘আমাদের করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ রুখতে হবে। আমরা আইনত বাধ্য নিয়ম মানতে। কিন্তু এই মুহূর্তে তা হচ্ছে না।’ সোমবার নতুন করে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজার ৮৭২ জন। এই অবস্থায় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় ইনটেনসিভ কেয়ারের চিকিৎসকেরা দু’সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের ডাক দিয়েছেন।

উদ্বেগজনক ভাবে সংক্রমণ বাড়ায় গত কাল একই অনুরোধ জানিয়েছে ফ্রান্স। ফরাসি সরকার ইতিমধ্যেই প্যারিস-সহ একাধিক বড় শহরে আংশিক লকডাউন জারি করেছে। সোমবার প্যারিসের এক দল চিকিৎসক সতর্ক করেছেন, খুব শীঘ্রই হয়ত শহরের হাসপাতালগুলি উপচে যাবে এবং রোগীদের সামাল দিতে গিয়ে চিকিৎসা পরিকাঠামোয় ঘাটতি দেখা যাবে। পরিস্থিতি এমনই যে ফের লককাউন জারি হয়ে অর্থনীতির গতি থমকে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন লগ্নিকারীরা। গ্রিস সম্প্রতি বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশে অনুমতি দেয়ার পরিকল্পনা করলেও আথেন্স-সহ বেশ কিছু জায়গায় নতুন করে বিধিনিষেধ জারি করেছে। মে পর্যন্ত স্পেনেও বজায় থাকছে কড়াকড়ি।

ইউরোপ-জুড়ে সংক্রমণ ফের বাড়তে পারে বলে চলতি মাসের শুরুতেই সতর্ক করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। সংস্থার ইউরোপীয় শাখার প্রধান বলেছিলেন, মহামারি নিয়ে ‘ক্লান্তি’ মানুষের মধ্যে পারস্পরিক দূরত্ব-বিধি মানার অনীহা আনতে পারে। তার উপরে প্রতিষেধক এসে যাওয়ার স্বস্তিতেও অনেকে বিধি মানতে আগ্রহ দেখাবেন না।

সোমবার থেকে লকডাউন শিথিল করা হয় ব্রিটেনে। ‘গৃহবন্দি দশা’ মেটায় দিনটিকে ‘হ্যাপি মানডে’ বলছে দেশের সংবাদমাধ্যম। এ বার থেকে ছ’জন সদস্যের ছোট দল জমায়েত করতে পারবে বাড়ির বাইরে। তবে সম্ভব হলে এখনও বাড়ি থেকেই কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছে ব্রিটেন সরকার। খুব প্রয়োজন না হলে দেশের বাইরে সফর করাও নিষেধ। নিয়ম না-মেনে বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রায় ৭ হাজার ডলার জরিমানা করা হবে বলে সতর্ক করেছে বরিস প্রশাসন। ১২ এপ্রিল থেকে খুলে দেয়া হবে জরুরি নয় এমন দোকানপাটও। রেস্তরাঁ ও পাবের বাইরে বসে পানাহার করার অনুমতিও পাওয়া যাবে।

সূত্র: রয়টার্স।

সর্বশেষ সংবাদ

মুজিববর্ষের নামে ভাস্কর্য-ম্যুরালে হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট: শফিকুল আলম

মুজিববর্ষের নামে কত টাকা অপচয় করা হয়েছে তা বর্তমান সরকার খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ