মিয়ানমারে সেনা শাসনের বিরুদ্ধে এবার অভিনব প্রতিবাদ করেছে দেশটির মানুষ। জান্তা সরকারের দমন-পীড়নের প্রতিবাদে বড় শহরগুলোর রাস্তায় ময়লা আবর্জনা ফেলে প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানায় আন্দোলনকারীরা। এদিকে, দেশটিতে বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫০০ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। এই সহিংসতা বন্ধের আহবান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ।
মিয়ানমারে প্রতিদিনই চলছে সামরিক সরকার বিরোধী বিক্ষোভ। মঙ্গলবার থেকে ‘গার্বেজ স্ট্রাইক’ শুরু করে আন্দোলনকারীরা। এসময় দেশটির নাগরিকেরা ঘরের আবর্জনা রাস্তায় ছুড়ে ফেলে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে ঘৃণা জানায়। অভিনব এই আন্দোলনের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে।
সোমবারও বিক্ষোভে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহতের সংখ্যা পাঁচশ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় একটি অধিকার সংগঠন। প্রতিবাদকারীদের ওপর নিপীড়ন বন্ধ করতে সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ।
শনিবার সেনাবাহিনীর গুলিতে ১১৪ বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিশোধ নিতে, কারেন রাজ্যের মুতরাও জেলায় একটি সেনাপোস্টে হামলা চালায় সশস্ত্র একটি গোষ্ঠী। এক কর্নেলসহ ১০ সেনাসদস্য মারা যায় ওই হামলায়।
যার জেরে শনিবার রাতে ওই জেলার পাঁচটি অঞ্চলে বিমান হামলা চালায় জান্তা সরকার। হামলা থেকে বাঁচতে ওই রাজ্যের দুই হাজারের বেশি বাসিন্দা থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে।