প্রতিবেশী মিয়ানমার থেকে সম্ভাব্য শরণার্থীর ঢল সামলাতে তার সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সোমবার জানিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা। মিয়ানমারে সেনা হামলার মুখে প্রাণ বাঁচাতে রোববার সীমান্ত পেরিয়ে প্রায় তিন হাজার মানুষ থাইল্যান্ডে প্রবেশ করার পর তিনি এমন কথা জানালেন।
মিয়ানমারে অভ্যুত্থবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন সপ্তাহব্যাপী সহিংসতার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সাংবাদিকদের প্রায়ুথ চান-ওচা বলেন, ‘দেশ ছেড়ে মানুষ আমাদের সীমানায় দল বেঁধে প্রবেশ করুক আমরা তা চাই না, তবে আমরা মানবাধিকারও পর্যবেক্ষণ করব। কত শরণার্থী আসবে বলে ধারণা? আমরা একটি এলাকা প্রস্তুত করেছি। তবে কতজন, আমরা সে বিষয়ে কথা বলছি না।’
মিয়ানমারের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলে সশস্ত্র কারেন বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত গ্রামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রতিশোধমূলক বিমান হামলা চালানোর পর তিন হাজার মানুষ রোববার সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করার পর শরণার্থীর ঢল নামার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স রোববার জানিয়েছিল, গত শনিবার কারেনদের সশস্ত্র সংগঠন ‘কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন’ থাইল্যান্ড সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় মিয়ানমারের একটি সেনাচৌকিতে হামলা চালিয়ে ১০ জনকে হত্যার পর এই অস্থিরতা শুরু হয়েছে।
কারেনদের ওই হামলার জবাবে মুতরা জেলায় কারেনদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্তত পাঁচটি এলাকা ছাড়াও আগেই বাস্তুচ্যুত মানুষের এক আশ্রয়শিবিরে হামলা হলে গ্রামবাসী জঙ্গল-পাহাড় পেরিয়ে শরণার্থী হিসেবে থাইল্যান্ড চলে যান।