স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্নস্থানে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনে নামেন কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়ান।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, এসব ঘটনায় হেফাজতে ইসলাম কিংবা মাদরাসা ছাত্রদের জড়িত থাকার গড়পরতা অভিযোগটি সঠিক নয়। তার মতে, বিএনপি-জামায়াতের প্রলোভনে এবং তাদের অবৈধ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে পথে নেমেছে হেফাজতে ইসলামের পথভ্রষ্ট একটি অংশ।
রোববার (২৯ মার্চ) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে উপমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, কিছু কওমি মাদ্রাসার ছাত্র রয়েছেন, যারা হেফাজতে ইসলামের পথভ্রষ্ট অংশের সাথে জড়িত। জামায়াত-শিবির ও বিএনপির প্রলোভনে তারা পথে নেমেছে। এদের সঙ্গে সাধারণ মাদরাসা ছাত্রদের কোনোভাবেই এক করা যাবে না। তাই সংবাদ পরিবেশনের সময় সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আরও বলেন, কোনো আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী এই দুইদিনের অরাজকতার সঙ্গে জড়িত নয়। তাই ‘মাদরাসা ছাত্ররা’ ত্রাস করছে- এই ধরনের অভিযোগ তোলা সঠিক নয়। আলিয়া মাদরাসা আর কওমি মাদরাসাও এক নয়। কোনো আলিয়া মাদরাসা হেফাজতে ইসলাম দ্বারা পরিচালিত হয় না।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম, হাটহাজারীসহ সারাদেশে হেফাজতের আন্দোলনরতদের ওপর হামলা ও ৫ জন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ২৮ মার্চ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে হেফাজত ইসলাম। একই ঘটনায় শনিবার (২৭ মার্চ) সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। এদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ জন নিহত হয়। একইভাবে রোববার হেফাজতের ডাকা হরতালের দিন পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় আরও তিনজন নিহত হয়।