রংপুরের পীরগাছা উপজেলার প্রত্যন্ত চরে ভাইয়ের মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বখাটেদের হাতে প্রাণ গেলো চাচার। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করতে পারলেও মূল অভিযুক্ত বখাটে রোজোয়ান পালিয়ে গেছে।
ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে বৃদ্ধ মায়ের আহাজারি। শনিবার (২৭ মার্চ) বখাটে রেজোয়ান ও তার লোকজন লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করলে গুরুতর অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করে এলাকাবাসী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যুর খবর আসে রোববার সন্ধ্যায়।
স্বজনদের অভিযোগ, নিহত মিজানুর রহমানের বড় ভাই এরশাদুল ইসলামের মেয়েকে অনেক দিন ধরেই উত্ত্যক্ত করে আসছিলো এলাকার বখাটে রেজোয়ান। ইদানীং মোবাইল ফোনেও উত্ত্যক্ত করা শুরু করে সে। এ ঘটনার জেরে শনিবার রেজোয়ানকে মারধর করে মিজানুর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উল্টো লাঠিশোঠা দিয়ে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে রাস্তায় ফেলে গেলে উদ্ধার করে ওই দিনই হাসপাতালে ভর্তি করে লোকজন। রোববার তার মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসীরা বলেন, তারা এলাকার প্রভাবশালী। লোকজন নিয়ে এসে মিজানকে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই।
মিজানুরের মৃত্যুর খবরে পীরগাছা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
পুলিশের উপ পরিদর্শক জগদীশ চন্দ্র রায় বলেন, আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি।
এ ঘটনায় নূর হোসেন বাবু নামে রেজোয়ানের এক সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ।