নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২১১ টার্গেটে খেলতে নেমেই প্রথম দিকের ব্যাটসম্যানরা একরকম উইকেট বিলিয়ে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরে। ৮ ওভার শেষ হওয়ার আগেই প্রথম ৬টি উইকেট নাই হয়ে গেল মাত্র ৬৯ রানে। এরপর আফিফ হোসেনের দৃঢ়তায় ১শ’ পার হলেও টাইগারদের ইনিংস থামে ১৪৪ রানে। তাতে ৬৬ রানের জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।
ব্যাটিং ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে দারুণ খেলছিলেন আফিফ হোসেন। কিন্তু কাছে গিয়েও ফিফটি পেলেন না তরুণ এই অলরাউন্ডার। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ বলে ৪৫ করে আউট হলেন আফিফ। তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৬.৪ ওভারে ৭ উইকেটে ১২২। এরপর মোহম্মদ সাইফুদ্দিনের ৩৪ বলে ৩৪ রানে ভর করে বাংলাদেশ পায় ১৪৪ রান।
দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম এবং লিটন দাস শুরুতে কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু বিপর্যয়ের সূচনাটা করেন লিটন দাস। ২০ রানের জুটি গড়ার পর টিম সাউদির বলে ইশ সোদির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি মাত্র ৪ রান করে। এরপর একে একে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। যেন আসা-যাওয়ার তুমুল এক প্রতিযোগিতা। ২৭ রান করে ফিরে যান মোহাম্মদ নাঈম। তিনি খেলেন ১৮টি বল। বাউন্ডারি মেরেছেন ৫টি।
সৌম্য সরকার আউট হন ৫ রান করে। মোহাম্মদ মিঠুন আউট হলেন ৬ বলে ৪ রান করে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ৯ বলে করেন ১১ রান। কিন্তু সোদির ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি। মেহেদী হাসান আউট হলেন কোনো রান না করেই। সোদির বলে বোল্ড হয়ে।
৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে সোধির শিকার ৪ উইকেট। ফার্গুসন ২টি, আর একটি করে উইকেট পান টিম সাউদী ও হামিশ বেনেট।
এর আগে ডেভন কনওয়ের অপরাজিত ৯২ রানের সুবাদে ২১০ পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড। এই সংগ্রহে গাপটিলের ৩৫, উইলি ইয়ংয়ের ৫৩ ও গিলেন ফিলিপসের ২৪ রানের ইনিংস ছিল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড: ২০ ওভারে ২১০/৩ (গাপটিল ৩৫, অ্যালেন ০, কনওয়ে ৯২, ইয়াং ৫৩, ফিলিপস ২৪*; নাসুম ৪-০-৩০-২, সাইফ ৪-০-৪৩-০, শরিফুল ৪-০-৫০-০, মুস্তাফিজ ৪-০-৪৮-০, মেহেদি ৪-০-৩৭-১)।
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৪৪/৮ (নাঈম ২৭, লিটন ৪, সৌম্য ৫, মিঠুন ৪, মাহমুদউল্লাহ ১১, আফিফ ৪৫, মেহেদি ০, সাইফ ৩৪*, শরিফুল ৫, নাসুম ০*; সাউদি ৪-০-৩৪-১, বেনেট ৪-০-২০-১, ফার্গুসন ৪-০-২৫-২, সোধি ৪-০-২৮-৪, চাপম্যান ১-০-৯-০, ফিলিপস ১-০-৫-০, মিচেল ২-০-২১-০)।
ম্যান অব দ্যা নির্বাচিত হয়েছেন ডেভন কনওয়ে।