ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের বিরোধীতা করে মতিঝিল এলাকায় প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানা-পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। এতে আসামি ৫১ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও তাতে সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের নাম নেই।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এই ঘটনায় পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিন্টু কুমার এই মামলাটি করেন বলে থানা সূত্র জানিয়েছে। মামলায় ৫১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের অনেককে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলায় উল্লিখিত বাকি ১৯ জনসহ অজ্ঞাত আরও অনেক আসামি সংঘর্ষের সময় অলিগলি দিয়ে পালিয়ে যায় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের দল যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে মোট ৩৩ জনকে আটক করা হয়েছিল। এদের মধ্যে শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলামকে বিকেলে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম সংঘাতের পর বলেছিলেন, ‘নুরের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ, পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা নুরকে খুঁজছি।’
তবে মামলার এজাহারে নুরের নেতৃত্বে বিক্ষোভের কথা বলা হলেও আসামির তালিকায় নুরের নাম দেখা যায়নি। এ বিষয়ে পুলিশের কোনও বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
এজাহারে বলা হয়েছে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নুরুল হকের (নুরু) নেতৃত্বে গ্রেফতার ও পলাতক আসামিসহ অজ্ঞাত অনেকে পল্টন মডেল থানাধীন কস্তুরি হোটেলের গলি থেকে হঠাৎ একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে সোয়া ১২টার দিকে শাপলা চত্বরের পশ্চিম পাশে অবস্থান করেন।
এ সময় অবস্থানকারীরা বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সরকারবিরোধী উসকানিমূলক ও অবমাননাকর স্লোগান দিতে থাকেন এবং রাস্তা বন্ধ করে জনগণের ভোগান্তির সৃষ্টি করেন।
একপর্যায়ে তাদের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা না করতে অনুরোধ করলে তারা মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে পুলিশের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেন।