দীর্ঘ দিন ধরে যে সব ভারতীয়ের গ্রিন কার্ড পাওয়ার প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে, সে বিষয়ে আমেরিকান কংগ্রেসকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার কথা বললেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি সাংবাদিক বৈঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ প্রসঙ্গে জেন সাকি বলেন, প্রেসিডেন্ট মনে করেন গোটা প্রক্রিয়াটা আরও অনেক দ্রুত সেরে ফেলা যায়। কত তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে কাজ এগোচ্ছে, তা জানতে আপাতত উনি কংগ্রেসের উপরেই নির্ভরশীল। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের রুটিন সাংবাদিক বৈঠকে জেনকে ভারতীয়দের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার উত্তরেই তিনি জানান যে, বিষয়টি নিয়ে খোদ আমেরিকান প্রেসিডেন্টও উদ্বিগ্ন।
গত সপ্তাহে আমেরিকান কংগ্রেসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ভারতীয় চিকিৎসক সম্প্রদায়ের একাংশ। তাদের দাবি ছিল, গ্রিন কার্ড পাওয়ার জন্য দেশ ভিত্তিক যে কোটা ব্যবস্থার প্রচলন রয়েছে, তা তুলে দেয়া হোক। তাদের বক্তব্য, গত এক বছর ধরে আমেরিকায় যেভাবে তারা কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে একদম প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে থেকে লড়েছেন, তার পরেও এভাবে তাদের গ্রিন কার্ড আটকে থাকা আদৌ কাম্য নয়।
গত সপ্তাহেই অভিবাসী সংক্রান্ত একটি সংস্কার বিল পাশ হয়েছিল আমেরিকান কংগ্রেসে। কিন্তু তার পরেও ভারতীয় অভিবাসীদের সমস্যার সমাধান হয়ে ওঠেনি। সেই প্রক্রিয়াই যাতে দ্রুত হয়, তার ব্যবস্থা করতে বলেছেন বাইডেন।
আমেরিকান অভিবাসন নীতি অনুযায়ী, একমাত্র কানাডা ও মেক্সিকোর নাগরিকেরাই বছরে ২৬ হাজার গ্রিন কার্ড পেয়ে থাকেন। বাকি দেশগুলো লাইনে থাকে। যার ফলে ২০০৯ সালে যে সব ভারতীয় গ্রিন কার্ড পাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন, তারা এখনও পর্যন্ত খাতায় কলমে তা পাননি। কোভিড অতিমারির কারণে গোটা প্রক্রিয়া আরও পিছিয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন জেন।
এছাড়া, এইচ ১-বি ও এল-১ ভিসাধারীদের স্বামী বা স্ত্রীর আমেরিকায় চাকরি করার অনুমতির বিষয়টিও এখনও আটকে রয়েছে। বাইডেনের পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প এইচ ১-বি ও এল-১ ভিসাধারীদের স্বামী বা স্ত্রীদের চাকরি করার অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। ক্ষমতায় আসার পর পরই ট্রাম্পের সেই নির্দেশ খারিজ করে দেন বাইডেন। তবে সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়নি বলে অভিযোগ করেন অনেকে। জেন অবশ্য গতকাল দাবি করেন, সরকারি প্রক্রিয়া শুরু হলেও আইনি জটিলতার কারণে বিষয়টিতে সময় লাগছে। সূত্র: আনন্দ বাজার