বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খেই হারালো বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে সামান্যতম লড়াইও করতে পারলো না তামিম ইকবালের দল। ম্যাট হেনরি, জিমি নিশামদের বোলিংয়ে বিপক্ষে এলোমেলো হয়ে পড়া বাংলাদেশের ইনিংস থেমে গেল প্রতিপক্ষের দেওয়া লক্ষ্যের অনেক আগেই।
শুক্রবার ওয়েলিংটনের বেসিন রিসার্ভে কিউইদের বিপক্ষে ১৬৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। এই হারে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। প্রায় দুই বছর পর হোয়াইটওয়াশের স্বাদ নিতে হলো তামিম-মুশফিকদের। সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুলাইতে শ্রীলঙ্কায় হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ম্যাচ সেরা ডেভন কনওয়ে ও ড্যারিল মিচেলের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩১৮ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ১৫৪ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো ছিল না। ২৬ রানের মধ্যেই তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার ও লিটন দাসকে হারায় বাংলাদেশ। এই চাপ আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই যা লড়াই করেছেন। ওয়ানডের ২৩তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার ৭৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন।
এ ছাড়া লিটন দাসের ২১, মুশফিকুর রহিমের ২১ রানই কেবল উল্লেখ করার মতো। ম্যাট হেনরি ২৭ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন। জিমি নিশামের শিকার ৫ উইকেট।
এরআগে ব্যাটিং করা নিউজিল্যান্ড কনওয়ে ও মিচেলের ব্যাটেই বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ১১০ বলে ১৭টি চারে ১২৬ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন কনওয়ে। ৯২ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মিচেল। পঞ্চম জুটিতে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন কনওয়ে-মিচেল। গাপটিল ২৬ ও নিকোলস ১৮ রান করেন।
সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন রুবেল। ১০ ওভারে তার খরচা ৭০ রান। ১ উইকেট নেওয়া তাসকিন দেন ৫১ রান। এদিন মুস্তাফিজের ওপর দিয়ে ঝড় গেছে। একটি উইকেট পেলেও ১০ ওভারে ৮.৭০ ইকোনমিতে ৮৭ রান দিয়েছেন তিনি। সৌম্য সরকার ৩৭ রান খরচায় একটি উইকেট পান। দুই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহেদী হাসান খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি।