ইসরাইলে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে সরকার গঠনের প্রভাবশালী ভূমিকায় এসেছে ফিলিস্তিনি আরবদের এক রাজনৈতিক দল। ইসরাইলি আইন পরিষদ নেসেটের পাঁচটি আসন জয়ের মাধ্যমে হিব্রুতে রায়েম নামে পরিচিত ইউনাইটেড আরব লিস্ট (ইউএএল) দলটির ওপর অনেকখানি নির্ভর করছে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু থাকছেন কি না।
বুধবার ৯০ ভাগ ভোট গণনা শেষে পাওয়া ফলাফল অনুযায়ী, নেতানিয়াহু বা তার প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো জোট সরকার গঠনের জন্য নির্ধারিত ৬১ আসন পাচ্ছেন না।
এরমধ্যে যদি আরো একটি দল পক্ষ বদল না করে, তবে দুই জোটকেই সরকার গঠনের জন্য ইউএএলের নেতা মানসুর আব্বাসের সমর্থন নিতে হবে। অন্যথায় আবার পঞ্চম দফায় নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।a
দুই বছরের মধ্যে চতুর্থ দফার এই নির্বাচনে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন লিকুদ পার্টি এখন পর্যন্ত ৩০টি আসন লাভ করেছে। দলটির নেতৃত্বে জোটের অন্য সদস্যদের আসন সবমিলিয়ে ৫৯টি, যা নির্ধারিত আসন থেকে দুইটি কম।
নেতানিয়াহুর জন্য এটি এখন অবমাননাকর পরিস্থিতি যে ফিলিস্তিনিদের সাথে সবধরণের আপোষ প্রত্যাখ্যান করে ক্ষমতায় আসা এই রাজনীতিককে সরকার গঠনে ফিলিস্তিনি আরবদের সমর্থন নিতে হবে।
এর আগে ইসরাইলে ফিলিস্তিনি আরবদের রাজনৈতিক দল দ্যা আরব জয়েন্ট লিস্ট থেকে বেরিয়ে স্বাধীনভাবে ইউএএল গঠন করেন মানসুর আব্বাস।
পশ্চিম জেরুসালেম থেকে আলজাজিরার সংবাদদাতা হ্যারি ফকেট বলেন, মানসুর আব্বাস রক্ষণশীল ইসলামপন্থী পটভূমি থেকে উঠে এসেছেন। এর আগের ১২ মাস ইসরাইলের রাজনীতিতে তার দলকে আরো প্রায়োগিক ভূমিকায় নিতে কাজ করেছেন। বিভিন্ন দলের সাথেই তিনি কথা বলেছেন যে, তার সমর্থনের বদলে ইসরাইলে বাস করা ফিলিস্তিনি আরবদের উন্নতিতে তারা কী প্রতিশ্রুতি দেয়। নিজেকে তিনি নেতানিয়াহুর সাথে বা তার বিপরীতে কাজ করার জন্য খোলা রেখেছেন।
ইসরাইলের ৯৩ লাখ জনসংখ্যার ২০ ভাগ আরব জনগোষ্ঠী। নাগরিকত্ব থাকলেও বা বেশিরভাগই সাবলীলভাবে হিব্রুতে কথা বলতে পারলেও দেশটিতে আবাসন ও সরকারি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে তারা বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ অপরাধ ও তার প্রতিকারে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর নির্লিপ্ততার প্রতিবাদ করে আসছে ইসরাইলে বাসকারী ফিলিস্তিনি আরব জনগোষ্ঠী।
সূত্র : আলজাজিরা