spot_img

নাভালনির অভিযোগ খারিজ রাশিয়ার আদালতে

অবশ্যই পরুন

বিষ প্রয়োগের ঘটনার তদন্তে গাফিলতি করেছিল রাশিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী— অ্যালেক্সেই নাভালনির এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন রাশিয়ার একটি সামরিক আদালত। আদালতের একজন মুখপাত্র ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

অভিযোগের পক্ষে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থিত করতে না পারায় রোববার রাশিয়ার ২৩৫ নাম্বার সামরিক আদালত এই অভিযোগ খারিজ করে দেন বলে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।

আদালতের শুনানির সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না কারবন্দি নাভালনি। অনলাইনে যুক্ত থাকার সুযোগ থাকলেও তা নেননি তিনি।

গত বছর আগস্টে একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে সাইবেরিয়ারি তমস্ক শহর থেকে মস্কো ফেরার সময় বিমানবন্দরে এককাপ চা পানের পরই অসুস্থ হয়ে কোমায় চলে গিয়েছিলেন ৪৪ বছর বয়সী নাভলনি। বিমানবন্দর থেকে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

অবস্থার পরিবর্তন না হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জার্মানি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই পরীক্ষায় জানায় যায়, সোভিয়েত আমলে তৈরি বিষাক্ত নার্ভ এজন্ট নোভিচক দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।

নাভালনি যখন স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হন, সে সময়ই বিষয়টি তদন্ত করেছিল সাইবেরিয়ার পুলিশ, কিন্তু পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকায় তারা মামলা করার পথে এগোয়নি।

এদিকে নাভালনির অভিযোগ, বিষপ্রয়োগের এই ঘটনার সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। পুতিনের নির্দেশেই তার চায়ে বিশ মেশানো হয়েছিল। তবে ক্রেমলিন বরাবরই নাভালনির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এবার আদালতেও খারিজ হলো তার অভিযোগ।

প্রায় ছয় মাস জার্মানিতে চিকিৎসা নেওয়ার পর গত ১৭ জানুয়ারি দেশে ফিরেই গ্রেফতার হন নাভালনি। রাশিয়ার কারা বিভাগ অবশ্য আগেই জানিয়েছিল, ২০১৪ সালের একটি মামলায় স্থগিত দণ্ডের শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে মস্কোতে ফেরামাত্র নাভালনিকে গ্রেপ্তার করা হবে।

দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে পাওয়া অনুদানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে তিন বছরের ওই কারাদণ্ড দিয়েছিলেন রাশিয়ার আদালত। কারাবন্দি অবস্থায় গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন; কিন্তু আপিলের শুনানিতে হেরে যান নাভালনি। আদালত অবশ্য তারপরও তার সাজা ছয়মাস কমিয়ে দিয়েছে।

কে এই নাভালনি?

দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের কর্মী এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধী হিসেবে রাশিয়ায় অত্যন্ত পরিচিত রাজনীতিক নাভালনি। ২০১৮ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু অর্থ আত্মসাতের দায়ে দেশটির বিরোধী এই নেতাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বিরত রাখা হয়।

গত জানুয়ারিতে বিমানবন্দরে যখন নাভালনিকে আটক করা হয়, তার ঠিক আগ মুহূর্তে সেখানে উপস্থিত তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আমি জানি, আমি সঠিক পথে আছি। আমি কিছুতেই ভয় করি না।’

সূত্র: এনডিটিভি

সর্বশেষ সংবাদ

অস্ট্রেলিয়ায় শিশুদের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম

অস্ট্রেলিয়ার সরকার পরিকল্পনা করেছে, ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের এক্স, টিকটক, ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম-সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ