বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নিয়ে সাকিবের মন্তব্যের বিষয়ে বোর্ড সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে বিসিবির পক্ষ থেকে।
রোববার (২১ মার্চ) সংবাদমাধ্যমকে বিসিবি পরিচালক নাইমুর রহমান দুর্জয় এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিসিবি পরিচালক দুর্জয় আরও বলেন, জাতীয় দলের ক্রিকেটার হয়ে বিসিবির বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন না সাকিব।
বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, আইপিএলে সাকিব আল হাসানের খেলার অনাপত্তিপত্র পুনর্বিবেচনা করবে বিসিবি।
এর আগে শনিবার (২০ মার্চ) ভার্চুয়াল এক আলোচনায় এসে শ্রীলঙ্কা সফরে না যাওয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে সাকিব বলেন, ‘টেস্ট খেলব না এটা কখনই বলিনি, ভুলটা বিসিবির’।
সাকিব বলেন, ছুটির অ্যাপ্লিকেশনটির কোথাও টেস্ট খেলতে চান না এরকম কোন কথা ছিল না। বরং বিসিবিকে জানিয়েছি, আইপিএলের এ সময়টাতে তিনি অন্য কোনো ম্যাচ খেলতে চান না। এ সময়টাতে আইপিএল খেলতে পারলে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য একটা ভালো প্রস্তুতি হবে বলেই মনে করেন সাকিব।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি টেস্টের গুরুত্ব নিয়েও প্রশ্ন তূলেছেন সাকিব। তার মতে, এটা যেহেতু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ, তাই এখন আর এই ম্যাচগুলোর কোন গুরুত্ব নাই। তাই অযথা, এই টেস্ট খেলার চেয়ে বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করাটাকেই গুরুত্বপূর্ণ বলে ভেবেছেন সাকিব।
ভার্চুয়াল ওই সাক্ষাতকারে সাকিব আল হাসান আরও জানিয়েছেন, তার চেয়ে ভালো বিসিবি প্রেসিডেন্ট কারও পক্ষে হওয়া সম্ভব না। মাশরাফীকে নিয়ে সব সময়ই আলোচনাটা ছিল। খেলা ছাড়ার পর বিসিবিতে কোনো দায়িত্বে আসবেন তিনি। সমর্থকদের আশা ছিল নড়াইল এক্সপ্রেসকে হয়তো কখনও দেখা যাবে বিসিবির প্রেসিডেন্টের চেয়ারে। কিন্তু, মাশরাফী কখনই পালে হাওয়া দেন নি এ আলোচনার।
তবে, এবার নিজের ইচ্ছে জানালেন সাকিব আল হাসান। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চুয়াল আলোচনায় যোগ দিয়ে দর্শকদের করা এক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সরাসরি। জানিয়েছেন, মনের কোণে ইচ্ছে আছে বিসিবির ওই ভবনে ঢোকার। তবে, সেটা শুধুই একজন সাধারণ কর্মকর্তা হিসেবে নয়। হতে চান কর্তাদের কর্তা। শুধু তাই নয়, দায়িত্বটি নিতে কতটা ইচ্ছুক তিনি, সেটা জানিয়েছেন অকপটে। বলেছেন, তিনি যদি প্রেসিডেন্ট হতে পারেন, তাহলে সেটা হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য সেরা ঘটনা।
তিনি জানান, তার মতো ভালো বিসিবি প্রেসিডেন্ট কারও পক্ষেই হওয়া সম্ভব না।
আলোচনার এক পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট হলে কিভাবে ক্রিকেটকে বদলে দিতে চান তা নিয়েও কিছু ধারণা দিয়েছেন সাকিব। আইপিএল এবং অন্যান্য উন্নত ক্রিকেট রাষ্ট্রের ঘরোয়া আসরগুলো নিয়ে মুগ্ধতা ছিল সাকিবের কণ্ঠে।
সাকিব বর্তমানে পরিবারের সঙ্গেই অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের মেডিসন শহরে। সন্তান জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকতেই বাংলাদেশ দলের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড সফরে যাননি তিনি।