নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে এক পায়ে আঘাত পেয়ে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে হুইলচেয়ারে ফের প্রচারণা শুরু করেছেন। এবার বিজেপিকে বাংলার বাইরে পাঠাতে একটি পা-ই যথেষ্ট বলে হুঙ্কার দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বললেন, চাইলে ‘এক শটে’ তাদের বাংলার বাইরে ফেলতে পারেন।
ভাঙা পায়ে যে তাকে আটকানো যাবে না তা প্রতিটি সভাতেই বলে এসেছেন। রোববার সভা ছিল পশ্চিমবঙ্গের উত্তর কাঁথির মারিসদায়। চেনা ভঙ্গিতেই ‘খেলতে হবে, লড়তে হবে, জিততে হবে’ স্লোগান দিচ্ছিলেন। তারপরই কিছুটা আগ্রাসী সুর শোনা গেল তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের গলায়।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন শুরু হওয়ার আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মমতা বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যারা ভাবছে, একটা পা তো ভাঙা, আরেকটা পায়ে কী করব? তাদের বলছি, এক পায়ে আমি এমন শট মারব না, যে একেবারে বোল্ড আউট হয়ে বাংলা থেকে বেরিয়ে যাবে।’
প্রচারণায় বিজেপির বিরুদ্ধে মমতার লাগাতার আক্রমণ নিয়ে রোববার নির্বাচন কমিশনে গেছে বিজেপির প্রতিনিধিদল। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শিশির বাজোরিয়া ও অর্জুন সিং ছিলেন প্রতিনিধিদলে। কমিশনের কাছে মমতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে তারা বলেছেন, মমতা বিভিন্ন প্রচারসভায় কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। এভাবে সুস্থ নির্বাচন চলতে পারে না। কমিশনের অবিলম্বে তাকে নোটিশ পাঠানো উচিত।
বস্তুত এবারের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বিজেপি ও তৃণমূলের। তাই প্রতিটি নির্বাচনী সভায় বিজেপিকে বহিরাগত ও দাঙ্গাবাজ জাতীয় নানা বিশেষণে আক্রমণও করছেন মমতা। এমনকি বিজেপির যাবতীয় ‘অত্যাচার’ থেকে বাঁচাতে তিনি একাই বাংলার গোলরক্ষক সে কথাও মমতা জানিয়েছেন বারবার।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদির নাম নিয়ে তিনি বলেন, ‘শুনলাম আগেরদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাঙালিদের ডিএনএ পরীক্ষা করবেন। এত বড় অপমানজনক কথা তো আগে কেউ বলতে পারেনি।’
কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, এ সময় রীতিমতো উত্তেজিত দেখাচ্ছিল মমতা বন্দোপাধ্যায়কে। কথা বলতে বলতে খেইও হারিয়েছেন দুই একবার। তারপরই মমতা বলেন, ‘তুমি ডিএনএ টেস্ট করবে? তোমার এত বড় সাহস? এসো ডিএনএ টেস্ট করতে। তোমাকে ভালো করে দিয়ে দেব। সুন্দর করে দিয়ে দেব।’