মিয়ানমারে জান্তা সরকার বিরোধী বিক্ষোভে ব্যাপক প্রাণহানির পরও রাজপথ ছাড়ছেন না আন্দোলনকারীরা। নিরাপত্তা বাহিনীর অব্যাহত নিপীড়ন ও নির্যাতনের প্রতিবাদে শনিবার রাতভর বিক্ষোভ দেখিয়েছে গণতন্ত্রপ্রত্যাশীরা।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধের জন্য সামরিক জান্তাদের ওপর বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার বন্ধে পশ্চিমাদের পাশাপাশি এবার সোচ্চার হয়েছে এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলো।
শনিবারও দেশটির বিভিন্ন এলাকায় জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে অন্তত ৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পহেলা ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৮ জনে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার রাত থেকে রোববার ভোরের আগ পর্যন্ত দেশটির অনেক অঞ্চলে সামরিক শাসনবিরোধীরা আলোক প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি করেছে। এতে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদেরও মোমবাতি হাতে অংশ নিতে দেখা গেছে। তবে ইয়াংগনে প্রতিবাদকারীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ইয়াংগন, কাচিন, কাওথংসহ বেশ কয়েকটি শহর থেকে রাতের বেলায়ই প্রায় ২০ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
অব্যাহত প্রাণহানির ঘটনায় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে, সহিংসতা বন্ধ করে সংযম প্রদর্শনের আবেদন জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধের জন্য সামরিক জান্তাদের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। চুক্তি থাকলেও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে চাল সরবরাহে অস্বীকৃতি জানিয়েছে থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী।