spot_img

এ্যাপলকে ৩০ কোটি ডলার জরিমানা

অবশ্যই পরুন

ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট নীতিমালা ভঙ্গ করার কারণে টেক জায়ান্ট এ্যাপলকে ৩০ কোটি ৮৫ লাখ ডলার জরিমানা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের আদালত। পার্সোনালাইজড মিডিয়া কমিউনিকেশনসের (পিএমসি) দায়ের করা এক মামলায় এ্যাপলকে এ পরিমাণ জরিমানা করা হয়। খবর রয়টার্স ও ব্লুমবার্গ।

পিএমসির দাবি, এ্যাপল স্টোর, এ্যাপল মিউজিক এ্যাপ্লিকেশনে ও আইটিউনস এ ফেয়ারপ্লে পদ্ধতির প্রয়োগ পিএমসির প্যাটেন্ট লঙ্ঘন করেছে। এ অভিযোগে তারা মার্কিন আদালতে এ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা করে।

৫ দিন শুনানির পর বিচারক এ্যাপলকে তার রাজস্ব আয়ের অংশ থেকে পিএমসিকে জরিমানা আদায় করতে আদেশ দেয়। পিএমসির এক বিশেষজ্ঞ বলেন, এ্যাপল এর মাধ্যমে ২৪ কোটি ডলার আয় করেছে।

২০১৫ সালে এ্যাপলের বিরুদ্ধে এ মামলা করে পিএমসি। তখন এ্যাপল এ মামলার বিরুদ্ধে মার্কিন প্যাটেন্ট দফতরে আপিল জানায়। এ্যাপলের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি আদালতে গড়ায়। পিএমসির সঙ্গে এ্যাপলের এ দ্বন্দ্বে আদালত এ্যাপলের প্যাটেন্টের দাবিকে ভিত্তিহীন বলে এ রায় দিল।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এ্যাপল কর্তৃপক্ষ জানায়, এ রায় খুবই হতাশাজনক। তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে। এ্যাপল ছাড়াও নেটফ্লিক্স, গুগল ও এ্যামাজনের বিরুদ্ধেও প্যাটেন্ট-সংক্রান্ত মামলা করেছে পিএমসি। যেগুলো এখনও চলমান।

অন্যদিকে এ্যাপলের সিইও টিম কুক ও সফটওয়্যার বিভাগের প্রধান ক্রেইগকে এপিক গেমের দায়ের করা এক মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তলব করা হয়েছে। কুক ও ফেডেরিঘির সঙ্গে এ্যাপ স্টোরের ভাইস প্রেসিডেন্ট ম্যাট ফিসার, সাবেক মার্কেটিং প্রধান ও বর্তমান ফেলো ফিল শিলারকেও সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তলব করা হয়েছে।

এসব কর্মকর্তার পাশাপাশি এ্যাপলের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে অন্য কর্মকর্তারাও তাদের সাক্ষ্য দিতে পারবেন বলে জানিয়েছে এ্যাপল। এর আগে গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এপিক গেম এ্যাপ স্টোর থেকে নিজেদের জনপ্রিয় গেম ফর্টনিট সরিয়ে দেয়ার অভিযোগ তোলে। এ অভিযোগে তারা এ্যাপলের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।

তবে এ্যাপল বলছে, এ্যাপ কেনাবেচার শর্ত ভঙ্গের দায়ে ফর্টনিট গেমটি তারা তাদের স্টোর থেকে সরিয়ে নিয়েছে। এ্যাপল জানায়, এপিক গেম এ্যাপ স্টোরের কেনাবেচার পদ্ধতি অনুসরণ না করে নিজেদের পদ্ধতিতে গেমটির কেনাবেচা করে যাচ্ছিল, ফলে এ্যাপল তার ৩০ শতাংশ লেনদেন ফি থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল।

এ্যাপল আরও জানায়, মামলায় জেতার ব্যাপারে তারা খুব আশাবাদী। কারণ এপিক গেম তাদের আয় বাড়ানোর জন্য চুক্তির লঙ্ঘন করেছিল। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে এপিক গেম এ্যাপ স্টোরের নিরাপত্তাকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছিল।

সর্বশেষ সংবাদ

কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না নয়: আইজিপি

পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাসমূহ যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ