ম্যাচের শুরুতেই বায়ার্ন মিউনিখ পরিণত হলো দশ জনের দলে। তবে দলে যখন থাকেন রবার্ট লেভান্ডভস্কির মতো একজন, তখন আর যাই হোক গোল নিয়ে চিন্তা থাকে না কোচের। পুরো ম্যাচে সুযোগ পেলেন তিনটি, তিনটিই পাঠালেন জালে। তাতে বুন্ডেসলিগার ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় ক্লস ফিশারকে ছাড়িয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন তিনি, তার সামনে এখন কেবল জার্ড মুলার। ‘লেভা’ হ্যাটট্রিকে স্টুটগার্টকে উড়িয়ে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে কোচ হ্যান্সি ফ্লিকের দল।
শনিবার রাতে ম্যাচের শুরুতেই অ্যালফন্সো ডেভিসের লাল কার্ড। ১২ মিনিটে স্টুটগার্ট মিডফিল্ডার ওয়াতারু এন্দোকে ফাউলের কারণে প্রথমে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন ডেভিস, এরপর ভিএআর দেখে এসে তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। একজন বেশি নিয়ে খেলার সংখ্যাগত সুবিধাটা নেওয়ার ইঙ্গিত পরের মিনিটেই দিয়েছিল সফরকারী স্টুটগার্ট। বাঁ পাশ থেকে বোরনা সোসার ক্রসে দারুণ এক হেড করেন সাসা কালাজদিচ। তবে গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারের কল্যাণে সে যাত্রায় রক্ষা পায় দলটি।
সফরকারীদের সুখস্মৃতি শেষ সেখানেই। ১৭ মিনিটে সের্জ গেনাব্রির নিচু ক্রসে ডান পা ছুঁইয়ে গোল করেন লেভা। এতেই ছাড়িয়ে যান ক্লস ফিশারকে। বুন্ডেসলিগায় এটি তার ২৬৯তম গোল। তার সামনে এখন কেবল জার্ড মুলার, যার গোলসংখ্যা ৩৬৫টি।
২২ মিনিটে লেরয় সানের যোগান থেকে বায়ার্নের ব্যবধান বাড়ান গেনাব্রি। পরের মিনিটে আবারও লেভার আঘাত স্টুটগার্ট রক্ষণে। থমাস মুলারের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে ব্যক্তিগত জোড়া গোলের দেখা পান তিনি। ৩৯ মিনিটে করলেন হ্যাটট্রিক। তার বাম পায়ের শটে প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। দ্বিতীয়ার্ধে আরও সুযোগ পেলেও গোলের ব্যবধান আর বাড়েনি দলটির। ফলে দশ জনের দল নিয়েও ৪-০ গোলের দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কোচ ফ্লিকের শিষ্যরা।