আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর জোর দিয়েছেন সফররত শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। শনিবার (২০ মার্চ) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বঙ্গভবনে গেলে রাষ্ট্রপতি তাকে স্বাগত জানান। বঙ্গবভনের ক্রেডেনশিয়াল হলে প্রায় আধা ঘণ্টা বৈঠক করেন তারা।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে বলেন, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ নিজ নিজ উন্নয়নের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রেস সচিব বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।
“তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে নানা ইস্যুতে একই মত পোষণ করে। বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা তথ্য-প্রযুক্তি, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা পর্যটন ও সেবা খাতে যথেষ্ট উন্নয়ন করেছে। দুদেশের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এসব খাতের উন্নয়নে আরো বেশি সুযোগ তৈরি হবে। তিনি দুদেশের বিনিয়োগকারীদের এ বিষয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার প্রায় ৩০ হাজার কর্মী বিভিন্ন উৎপাদনশীল ও সেবাখাতে কাজ করে। এর মাধ্যমে তারা দুদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে অবদান রাখছে।
বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার অনেক শিক্ষার্থী মেডিক্যাল ও প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে। বাংলাদেশ আরো বেশি শ্রীলঙ্কান শিক্ষার্থীকে শিক্ষার সুযোগ দিতে প্রস্তুত আছে বলে জানান রাষ্ট্রপতি।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন খাতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে।
বাংলাদেশ ও শ্রীংলঙ্কার সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের খাতগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো কাজে লাগানোর যৌথ উদ্যোগ নিতেও আহ্বান জানান রাষ্ট্রপ্রধান। সাক্ষাতের সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং শ্রীলঙ্কার শিক্ষামন্ত্রী জি আই পেরিস উপস্থিত ছিলেন।
দুদিনের সফরে শুক্রবার সকালে ঢাকায় পৌঁছান শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রাজাপাকসে বঙ্গভবনের গ্যালারি হলে পরিদর্শন বইতে সই করেন।