মিয়ানমারে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর মোতায়েন চাচ্ছে জনগণের একাংশ। আবার কেউ কেউ দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা চাইছেন। শুক্রবার জাতিসংঘের এক শীর্ষ কমকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
মিয়ানমারে জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়ক অ্যান্ড্রিউ কির্কউড জানিয়েছেন, মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস ও অন্যান্য কর্মকর্তারা একমত যে, নিরাপত্তা পরিষদে সদস্য দেশগুলোর সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।
তিনি জানান, ‘অনেক মানুষের বহন করা প্ল্যাকার্ডে লেখা আছে ‘আর কত মৃতদেহ?’ নিষেধাজ্ঞার শর্তে মানুষ আন্তর্জাতিক সমন্বিত পদক্ষেপ চাইছে। খোলামেলাভাবে বলতে গেলে মানুষ এখানে শান্তিরক্ষীদের দেখতে চায়।’
কির্কউড বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাশাপাশি জাতিসংঘের ওপর বিপুল প্রত্যাশা রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা যতটুকু পারছি তার পুরোটাই করছি এবং এখনও মানুষের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় খুব বেশি কিছু করছে না।’
গত পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি ও নির্যাতনে এ পর্যন্ত দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।