বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, এশিয়া কাপ, আর ত্রিদেশীয় সিরিজ তো আছেই; ভারত আর শ্রীলঙ্কা যে কত বার বহুজাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। সে ইতিহাসের পুনর্মঞ্চায়ন হচ্ছে আবার। আগামী রবিবার রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজের ফাইনালে শচীন টেন্ডুলকারের ভারত লেজেন্ডসের মুখোমুখি হচ্ছে তিলকরত্নে দিলশানের শ্রীলঙ্কা। শুক্রবার প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন সনৎ জয়াসুরিয়ারা।
প্রথম সেমিতে লারা-শচীনের দ্বৈরথে শেষ হাসি হেসেছিলেন শচীন, তাতেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ফাইনাল। শুক্রবার রায়পুরের শহীদ বীর সিং স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আট উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটল শ্রীলঙ্কাও।
টসে জিতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দিলশান ব্যাটিংয়ে পাঠান প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকাকে। নুয়ান কুলাসেকারার বোলিংয়েই ধ্বসে যায় প্রোটিয়া ব্যাটিং অর্ডার।
কুলাসেকারার তোপে পুটিককে দ্রুত হারালেও এরপর মরনে ফন উইক আর অ্যালভাইরো পিটারসেনের জুটি আশা দেখাচ্ছিল প্রোটিয়াদের, রানের চাকা অবশ্য ঘুরছিল বেশ ঢিমেতালেই। তবে ব্যক্তিগত ২৭ রানে পিটারসেন আর ৫৩ রানে ফন উইক ফিরলে শেষমেশ রানের গতিটা বাড়ানো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। দু’জনের পর কেবল জাস্টিন কেম্পই দুই অঙ্কে পৌঁছুতে পেরেছেন।
নিজের ৪ ওভারে ২৫ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন কুলাসেকারা। সঙ্গে জয়াসুরিয়া, উইরত্নে, ফারভিজ মাহরুফদের যোগ্য সঙ্গ পেয়েছেন তিনি। ফলে প্রোটিয়াদের ইনিংস শেষ হয় কেবল ১২৭ রানে।
লক্ষ্য খুবই মামুলি। তবে তাতেও ক্ষয়রোগের ভয় ধরে গিয়েছিল লঙ্কান শিবিরে। সনৎ জয়াসুরিয়া ফেরেন ১৮ বলে ১৮ রান তুলে। অধিনায়ক দিলশানও সমান রান করে ফিরেছেন সাজঘরে। তবে এরপর আর পা হড়কায়নি লঙ্কানরা। উপুল থারাঙ্গা ও চিন্থাকা জয়াসিংহে এরপর ফিরেছেন ম্যাচ শেষ করেই। মাত্র ৪৮ বলে গড়েন ৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। চিন্থাকার ২৫ বলে ৪৭ রানের ইনিংসকে কেবল সমর্থন জুগিয়ে গিয়েছেন থারাঙ্গা, করেছেন ৪৪ বলে ৩৯ রান।
তাতেই আট উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লঙ্কানরা। আগামীকাল রোববার প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত লড়াইয়ে স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা। গ্রুপ পর্বে এই ভারত লেজেন্ডসের কাছেই ৫ উইকেটে হেরেছিল দিলশানের দল।