মোটরবাইকের সঙ্গে এক তরুণীর হাসিমাখা অনেকগুলো ছবি। যা জাপানে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় করেছিল এবং শত শত লাইকও পেতে শুরু করেছিল।
কিন্তু এসময় কিছু ঈগলের চোখওয়ালা ভক্তরা লক্ষ্য করলো ওই তরুণীর মুখের সঙ্গে কিছু অসামঞ্জস্য দেখা যাচ্ছে। তার বাহুকে বেশ লোমশ মনে হচ্ছে এবং আয়নার রিফ্লেকশনে ভিন্ন চেহারা দেখাচ্ছে। এনিয়ে ভক্তদের আরও আগ্রহী করে তুলেছে ওই তরুণীকে নিয়ে।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদন থেকে এ বিষয়ে জানা যায়, জাপানের একটি টিভি শো এই ঘটনার আসল বিষয় অবশেষে উন্মোচন করলো- অ্যাজুসাগাকুয়ুকি নামের একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে তরুণীর ছবিগুলো পোস্ট করা হতো। আসলে এই অ্যাকাউন্টটা হলো ৫০ বছর বয়স্ক জনগু নামের এক পরুষের। তিনি একটি ছবি এডিটিং অ্যাপ ব্যবহার করে বিপরীত লিঙ্গের চেহারা ব্যবহার করতেন।
ওই টিভি প্রোগ্রামে জনগু জানান, তিনি নিজেকে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে উপস্থাপন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জনগণ তাকে বয়স্ক ‘চাচা’ হিসেবে দেখার চেয়ে একজন ‘সুন্দরী তরুণী’ হিসেবে দেখতে বেশি পছন্দ করতো।
তিনি বলেন, ‘একজন সাধারণ মধ্য বয়স্ক পরুষ কি করছে, তার মোটরবাইকে কি যত্ন নিচ্ছে, বাইরে কোথাই যাচ্ছে এসব কিছু কেউই পড়তে চাইবে না।’ যখন তিনি ফেসঅ্যাপের মতো এডিটিং অ্যাপ ব্যবহার করতে শুরু করলেন ফলে তখন তাকে অবাকই করা হয়েছিল বলে জানান জনগু।
তিনি বলেন, আমি যখন প্রথম করেছিলাম, তখন এটি আমাকে সুন্দরী করে তুলেছিল। আমি এক হাজার লাইক পেয়েছিলাম তার যা ছিলো আগে পোস্ট করা ১০টা ছবির চেয়ে বেশি। পরবর্তীতে আমি সাধারণত আরও কিউট করতে এটা ব্যবহার করতাম।
যখন ওই টিভি শো’তে জনগু তার আসল বিষয়টি প্রকাশ করেন তার ১৯ হাজার ফলোয়ারই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।
তার এক ভক্ত লিখেছেন, আমি তোমার ওই টিভি শো দেখেছিলাম এবং তোমার ফ্যান হয়ে গেছি। আরেকজন লিখেছেন, তোমার জাদুকরী দক্ষতা আছে।
ফেসঅ্যাপের মতো এডিটিং সফটওয়্যারগুলো তাদের ব্যবহারকারীদের ছবিতে চেহারা পরিবর্তন করার সুযোগ দেয়। যেমন, ব্যবহারকারীরা তাদের লুক তরুণ থেকে বয়স্ক, বয়স্ক থেকে তরুণসহ লিঙ্গভেদে বিভিন্ন রূপে পরিবর্তন করতে পারে।
কিন্তু এই ধরণের অ্যাপে গোপনীয়তা রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ২০১৯ সালে সতর্ক করে দিয়েছিল। রাশিয়াও এটিকে হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছে।