spot_img

মেক্সিকো ও কানাডাকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ডোজ দেবে যুক্তরাষ্ট্র

অবশ্যই পরুন

মেক্সিকো এবং কানাডাকে ৪০ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনা টিকার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মেক্সিকোকে দেওয়া হবে ২৫ লাখ এবং কানাডাকে দেওয়া হবে ১৫ লাখ ডোজ। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি শুক্রবার সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেন সাকি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এটি পরিকল্পনা পর্যায়ে আছে, কাজ শুরু হয়নি। তবে খুব শিগগির এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নেওয়া শুরু হবে।’

টিকার ডোজের স্বল্পতার কারণে বন্ধ হয়ে থাকা করোনা গণটিকাদান কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহে থাকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ডোজগুলো চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছিল মেক্সিকো।

মঙ্গলবার মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্সেলো এব্রার্ড বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছিলেন, ‘আমরা দেশের বর্তমান সংকট যুক্তরাষ্ট্র সরকার জানিয়েছি এবং অনুরোধ করেছি, তাদের স্টকে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার যে ডোজগুলো রয়েছে, সেগুলো যেন আমাদের দেওয়া হয়। আমরা আশা করছি, আশা করছি আগামী শুক্রবারের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই অনুরোধের উত্তর দেবে।’

একই কারণে টিকার ডোজ চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানিয়েছিল কানাডাও। শুক্রবার তার উত্তর দিলেন জেন সাকি।

যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য এ পর্যন্ত তিনটি করোনা টিকার অনুমোদন দিয়েছে দেশটির খাদ্য ও ওষুধের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। এগুলো হলো— ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসন। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন যদিও এখনও দেয়নি এফডিএ, তবে এই টিকার বেশ কিছু পরিমাণ ডোজ মজুত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগ।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পনি সূত্র জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী আগামী এপ্রিল নাগাদ তিন কোটি ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দেশটিকে সরবরাহ করা হবে। শুক্রবার জেনসাকি জানিয়েছেন, এই মূহুর্তে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগের সংগ্রহে রয়েছে ৭০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, মেক্সিকো ও কানাডাকে ঋণ হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ডোজ দেওয়া হবে। শর্ত থাকবে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেন দু’টি দেশ তা পরিশোধ করে।

তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ বেশ কয়েকটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টিকার ডোজ চেয়েছে, কিন্তু আপাতত তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দুই দেশ মেক্সিকো এবং কানাডাকে সহযোগিতা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

‘অনেক দেশই আমাদের কাছে টিকার ডোজ চেয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের আলাপ-আলোচনা অব্যাহত থাকবে এবং আমাদের প্রেসিডেন্ট যেমন বলেছেন, সেই অনুযায়ী কাজ হবে। তিনি বলেছেন, দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর যদি টিকার ডোজ বেঁচে যায়, সেক্ষেত্রে সেগুলো তাদের দেওয়া হবে।’

‘কিন্তু মেক্সিকো ও কানাডার ব্যাপারটি কিছুটা আলাদা। কারণ, তারা একই সঙ্গে আমাদের প্রতিবেশী এবং অংশীদার।’

সূত্র: রয়টার্স

সর্বশেষ সংবাদ

সশস্ত্রবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়লো আরও ৬০ দিন

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরো দুই মাস (৬০...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ