আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম বলেই দারুণ এক ছক্কা হাঁকান সূর্যকুমার যাদব। দারুণ কিছু করার ইঙ্গিতটা শুরুতেই দেন এ ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত করেন দারুণ এক হাফসেঞ্চুরি। তাতে লড়াকু সংগ্রহই পায় ভারত। পরে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত সিরিজে সমতা ফেরাতে পেরেছে স্বাগতিকরা। শনিবার শেষ ম্যাচে নিষ্পত্তি হবে কারা হাসবেন শেষ হাসি।
বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদে ইংল্যান্ডকে ৮ রানে হারায় ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৫ রান তোলে তারা। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি ইংলিশরা। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে এখন দুটি করে জয় পেয়েছে দুই দলই।
ভারতের ছুঁড়ে দেওয়া লক্ষ্য তাড়ায় আগের দিনের ম্যাচ জয়ের নায়ক জস বাটলারকে শুরুতেই হারায় ইংল্যান্ড। তবে দ্বিতীয় উইকেটে সফরকারীদের আশা ধরে রেখে ৪৫ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন ডেভিড মালান ও জেসন রয়। কিন্তু ৬ রানের ব্যবধানে এ দুই সেট ব্যাটসম্যান আউট হলে বড় চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা।
তবে চতুর্থ উইকেটে ইংল্যান্ডকে ফের আশা দেখান জনি বেয়ারস্টো ও বেন স্টোকস। চতুর্থ উইকেটে ৬৫ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু এরপর মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে এ দুই সেট ব্যাটসম্যানসহ দলীয় অধিনায়ক ইয়ন মরগানকেও হারায় ইংল্যান্ড। কার্যত তখনই হার দেখে ফেলে দলটি। তবে শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্যাম কারান ও জোফরা আর্চার আশা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তা কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছেন। জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।
ইংলিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান আসে স্টোকসের ব্যাট থেকে। ২৩ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ২৭ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪০ রান করেন জেসন। শেষ দিকে ৮ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন আর্চার। ইংলিশদের পক্ষে ৪২ রানের খরচায় ৩টি উইকেট তুলে নেন শার্দুল ঠাকুর। ২টি করে উইকেট পান হার্দিক পান্ডিয়া ও রাহুল চাহার।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ছোট ছোট জুটিতে এগিয়ে যেতে থাকে ভারত। প্রায় সব জুটিতেই ব্যাটসম্যানরা কমবেশি অবদান রাখায় লড়াকু সংগ্রহই গড়ে দলটি। তবে ভারতের ইনিংসের ভিত গড়ে দেন ওই অভিষিক্ত সূর্যকুমার। খেলেন ৫৭ রানের ইনিংস। ৩১ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া শ্রেয়াস আইয়ার ৩৭ ও রিশাভ পান্ত ৩০ রান করেন। ইংলিশদের পক্ষে ৩৩ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পান আর্চার।